ছবি: সংগৃহীত
কলকাতার ‘টিম পিকে’র নির্দেশে বাড়ি বাড়ি ঘুরে দিদিকে বলো কর্মসূচি আগেই শুরু হয়েছিল। এ বার শিলিগুড়িতে সংযোজন ‘টিম জিডি’ বা টিম গৌতম দেব। লোকসভা নির্বাচনে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় প্রায় ৮৬ হাজার ভোটে বিজেপির কাছে হারের পরে নতুন করে সংগঠন সাজাতে ময়দানে নেমে পড়েছেন সেখানকার বিধায়ক গৌতম দেব। আপাতত দলটি ওই বিধানসভা ভিত্তিক কাজ করবে।
দলীয় সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে গৌতম ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি থেকে তৃতীয়বারের জন্য প্রার্থী হতে পারেন। এ বার পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে এলাকার পাঁচ শতাধিক জনকে নিয়ে বিশেষ দল তৈরি হচ্ছে। তবে সকল স্তরের জনপ্রতিনিধি, দলের নেতানেত্রীদের বাইরে রেখে এই দল তৈরি হচ্ছে। বাছাই করা কর্মীদের এখানে রাখা হবে।
অনেকে প্রকাশ্যে দলের হয়ে প্রচারে থাকবেন না। মানুষের সঙ্গে থেকে সরকারি সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে প্রচার-সাহায্য করা ছাড়াও সমস্যা, অভাব-অভিযোগ শুনে সঙ্গে সঙ্গে বিধায়কের দফতরে যোগযোগ রাখবেন তাঁরা। তা জানার পরে প্রয়োজন মতো সেই সমস্যা, অভিযোগের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে গৌতমের ছোট কয়েকটি দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে অভাব-অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছিলেন। সেগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। নতুন দলটি পেশাদার, সক্রিয় কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে।
গত জুলাইয়ে নিজেই উদ্যোগী হয়ে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে শিলিগুড়ি পুর এলাকায় সমীক্ষা চালিয়েছিলেন গৌতম। যাকে অনেকেই পিকে-র টিম ভেবে ভুল করেছিলেন। ওই সমীক্ষায় দলের অনেক ত্রুটি, বিচ্যুতি উঠে এসেছে। যা কলকাতায় তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ২০২১ এর বিধানসভার কথা মাথা রেখে দু’বছর আগে থেকেই জন সংযোগে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছেন মন্ত্রী।
গৌতম বলেন, ‘‘লোকসভার ফল দেখে আমার মনে হয়েছে, মানুষের হয়ত আরও বলার রয়েছে। সব জায়গায় তো আমি সব সময় পৌঁছতে পারব না। তাই ওই টিম এলাকায় থাকবে। একটা নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, তাঁর কাছে বিধানসভার কয়েক হাজার বাসিন্দার ফোন নম্বরের তথ্য রয়েছে। সরাসরি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ২০১১ সালে ক্রান্তি বিধানসভাকে ভেঙে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা তৈরি হয়। প্রথমবার সেখানে গৌতম প্রার্থী হয়ে ৪৮ শতাংশ ভোট পান। তখন বিজেপি ৬ শতাংশ এবং সিপিএম ৪১ শতাংশ মতো ভোট পায়। ২০১৬ সালে ফের গৌতম ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতেন। সিপিএম ৩৭ শতাংশ মতো এবং বিজেপি ১২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। কিন্তু এ বার লোকসভা সব রেকর্ড ভেঙে বিজেপি ৮৬ হাজারের মার্জিন নিয়ে এক নম্বরে উঠে এসেছে। দ্বিতীয় স্থানে তৃণমূল।