Suvendu Adhikari

রাজ্যকে তোপ শুভেন্দুর

কাঁটাতারের বেড়ার জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তাঁর দাবি, রাজ্যকে জঙ্গিমুক্ত করতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বৈষ্ণবনগর আসন তাঁর চাই।

Advertisement

জয়ন্ত সেন 

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৪৪
Share:

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র ।

প্রজাতন্ত্র দিবসের বিকেলে মালদহের সুকদেবপুর সীমান্তে ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে কাঁটাতারের বেড়ার জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তাঁর দাবি, রাজ্যকে জঙ্গিমুক্ত করতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বৈষ্ণবনগর আসন তাঁর চাই।

Advertisement

মালদহে বৈষ্ণবনগর বিধানসভার সুকদেবপুর থেকে শবদলপুর পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সীমান্ত উন্মুক্ত রয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজিবি-র বিরুদ্ধে কাজে বাধার অভিযোগ ওঠে। এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেও ‘জ়িরো পয়েন্টে’ থাকা ভারতীয় ভূখণ্ডের গম গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত ওই উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়নি। দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মালদহে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে ‘বিতর্কে’ না জড়াতে স্থানীয়দের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এ দিন সেখানে ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ করেন শুভেন্দু।

পরে সুকদেবপুরে একটি সভায় শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘ভারতের পাঁচটি রাজ্যে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেই সবচেয়ে বেশি, প্রায় ২,২০০ কিলোমিটার। এই রাজ্যের সরকার ৫৯৬ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেওয়ার জন্য জমি অধিগ্রহণ করে দেয়নি।’’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিএসএফকে ১৭টি চৌকি এবং ১১টি বড় ক্যাম্প করার জন্য জমি দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভুলভাল কথার কোনও উত্তর হয় না। আর বৈষ্ণবনগর তো দূরের কথা, জেলায় একটি আসনও জুটবে না বিজেপির।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement