সাফ: এই গাছ কাটা ঘিরেই বিতর্ক। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে সোমবার দুপুর পর্যন্ত গাছ কাটা বন্ধ থাকছে লাটাগুড়িতে।
গরুমারা জাতীয় উদ্যানে তিন হাজারেরও বেশি গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা করে উত্তরবঙ্গের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন মামলাটির শুনানি হয়। ওই সংস্থার আইনজীবী সিদ্ধার্থ মিত্রর অভিযোগ, অভয়ারণ্যে গাছ কাটতে হলে কেন্দ্রর অনুমতি লাগে। তা নেওয়া হয়নি।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত পাল্টা দাবি করেন, লাটাগুড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে রেলের উড়ালপুল তৈরি হচ্ছে। ওই উড়ালপুল তৈরি হলে মানুষ উপকৃত হবেন। ওই প্রকল্পের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। জানান, অভয়ারণ্যে তিন হাজার গাছ কাটা হচ্ছে বলে যা বলা হচ্ছে, তার ভিত্তি নেই। এখনও পর্যন্ত ৪১৭টি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দু’পক্ষের শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ, অভিযোগ সংক্রান্ত নথি সোমবার আদালতে পেশের নির্দেশ দেয়। রাজ্যকেও নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রকল্পের প্রজেক্ট রিপোর্ট ও কেন্দ্রের অনুমোদনের নথি আদালতে দাখিল করতে। সোমবার বেলা দু’টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালতের এই নির্দেশ জানার পরেই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন গাছ কাটার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা পরিবেশ কর্মীরা৷
লাটাগুড়িতে উড়ালপুল তৈরির জন্য জাতীয় সড়কের দু’ধারে গাছ কাটাকে ঘিরে সরগরম এলাকা৷ সোমবার প্রথম ওই এলাকায় গাছ কাটতে যায় বন উন্নয়ন নিগম৷ দশটি গাছ কাটা হতেই পরিবেশকর্মীদের বাধায় পিছু হটতে বাধ্য হন নিগম কর্মীরা৷ বুধবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের কর্তাদের বৈঠকে ফল মেলেনি৷ এরপর বৃহস্পতিবার বিশাল পুলিশ বাহিনী নামিয়ে এলাকায় গাছ কাটা শুরু হয়৷ তারপরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবেশ কর্মীরা।