এবারের পুরসভা ভোটে সকলে একসঙ্গে মিলে তীর্থযাত্রীর মতো ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ভোটারদের পরামর্শ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি। রবিবার সন্ধ্যায় রাতে তিনি মালবাজারে প্রচারে যান। পুরসভার ২ নম্বর এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সুব্রতবাবু দুটো সভায় যোগ দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এবার ভোটের আপনারা একসঙ্গে তীর্থযাত্রীদের মতো ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের ভোট দেবেন।’’
মালবাজারের সঙ্গে তিনি জলপাইগুড়িতেও প্রচারে গিয়ে একই কথা বলেন। কলকাতা পুরসভা ভোটে অশান্তির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন সুব্রতবাবু। সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি মাদ্রাসা ময়দানে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় তিনি দাবি করেন, ‘‘কলকাতা কর্পোরেশন ভোটে ঝাণ্ডা ও ডাণ্ডার আতঙ্ক ছিল না। এমন নির্বাচনী উৎসব এর আগে মানুষ দেখেনি। প্রত্যেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিয়েছেন।’’
সুব্রতবাবু ‘সন্ত্রাসের ফোবিয়া’ সৃষ্টির জন্য এদিন গণমাধ্যমের একাংশকে দায়ী করে বলেন, “কলকাতা কর্পোরেশন ভোটে বিচ্ছিন্ন দুই-একটি ঘটনা যেগুলি সকালেই মিটে গিয়েছিল, সেটাকে দিনভর প্রচার করে সংবাদ মাধ্যমের একাংশ আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছে। কিন্তু লাভ হয়নি।” এদিন তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসুকে ধন্যবাদ জানান। শহরবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর পরামর্শ, “এবার তৃণমূলের বোর্ড গঠন করে মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন পুরসভা তুলে দিলাম, আপনি উন্নয়ন ব্যবস্থা করুন।”
বিরোধীদের অভিযোগ, শ্রোতাদের বেশিরভাগ ছিলেন পুর এলাকার বাইরের। গাড়ি দিয়ে ময়নাগুড়ি, রাজগঞ্জ, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের ভিড় বাড়াতে আনা হয়। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন শহরের দুই তৃণমূল নেতা কল্যাণ চক্রবর্তী এবং কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। সুব্রতবাবু বলেন, “উন্নয়নে জলপাইগুড়িতে কলকাতার প্রতিফলন দেখতে চাই।”