স্কুল ভবন নেই, দুর্ভোগ পড়ুয়াদের

রাস্তার পাশে চাটাইয়ের তলায় বসে রয়েছে কিছু শিশু। সামনে জোড়াতালি দেওয়া একটা বেঞ্চ।দূর থেকে বোঝার উপায় নেই। কাছে গেলে চাটাইয়ের একপাশে ঝোলা ফেস্টুন দেখে বোঝা যায় ওটা সরকারি স্কুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ০২:২৪
Share:

সমস্যা: চাটাইয়ের তলায় বসেই চলে পড়াশোনা। ছবি: বাপি মজুমদার

রাস্তার পাশে চাটাইয়ের তলায় বসে রয়েছে কিছু শিশু। সামনে জোড়াতালি দেওয়া একটা বেঞ্চ।

Advertisement

দূর থেকে বোঝার উপায় নেই। কাছে গেলে চাটাইয়ের একপাশে ঝোলা ফেস্টুন দেখে বোঝা যায় ওটা সরকারি স্কুল। নাম পারভালুকা প্রাথমিক বিদ্যালয়। এক সময় স্কুলটির ভবন ছিল। কিন্তু চার বছর আগে নদী ভাঙনে তলিয়ে যায় সেটি। তারপর থেকে আর তৈরি হয়নি নতুন ভবন। যার ফলে গত চার বছর ধরে এভাবেই চলছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ওই প্রাথমিক স্কুলটি। বৃষ্টি হলে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ছুটতে হয় লাগোয়া বাড়িতে আশ্রয়ের খোঁজে। একই দৃশ্য দেখা যায় চড়া রোদ উঠলেও। পড়াশোনার ক্ষতি হওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরাও।

স্কুলটি ছিল ফুলহার নদীর ওপারে। ২০১৩ সালে ভাঙনে গোটা পারভালুকা গ্রামের সঙ্গে স্কুলটিও তলিয়ে যায়। তারপর থেকে বাসিন্দারা বাঁধের পাশে আশ্রয় নিয়েছেন। বাঁধের পাশেই খোলা জায়গায় চলছে স্কুলটি। ৮৫ জন পড়ুয়ার জন্য রয়েছেন দু’জন শিক্ষক ও একজন পার্শ্বশিক্ষক। বছর দুয়েক আগে প্রশাসনের তরফে স্কুলটিকে সেখানে জমিও দেওয়া হয়।

Advertisement

সর্বশিক্ষা মিশন ও প্রশাসনের তরফে একাধিকবার স্কুলটি পরিদর্শন করা হয়েছে। কিন্তু আশ্বাস দেওয়া হলেও ভবন তৈরি না হওয়ায় পড়ুয়া-শিক্ষক উভয়কেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ভবন না হলেও গত বছর সর্বশিক্ষা মিশনের তরফে শৌচাগার তৈরি হয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রামচন্দ্র রবিদাস বলেন, ‘‘এভাবে স্কুল চালানো যায় না।’’ সর্বশিক্ষা মিশন স্কুল ভবন তৈরির টাকা দেয়। সেখানে কথা বলে দেখবেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(প্রাথমিক) গোপাল বিশ্বাস। ভবন না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন ভালুকা পঞ্চায়েতের সদস্য নিমাই মণ্ডল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement