জয় মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।
আর্থিক সঙ্কটের জন্য ছোটবেলা থেকেই মানুষ দাদুর বাড়িতে। উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেও অর্থের অভাবে আদতে পড়াশোনা চালানো সম্ভব হবে কিনা সেটাই বুঝতে পারছে না জয় মণ্ডল। আলিপুরদুয়ার হাইস্কুলের কলা বিভাগের ছাত্র জয় এ বছর পরীক্ষায় ৪৩৮ নম্বর পেয়েছে। ভূগোল নিয়ে পড়ে সে ডক্টরেট করতে চায়। তাঁর দিদা সুভদ্রা বিশ্বাস জানান, তিনি ছোটবেলা থেকে তাঁর কাছেই মানুষ।
জয়ের বাবা কৃষ্ণ মণ্ডল লটারির টিকিট বিক্রি করেন। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে তিনি থাকেন আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায়। তিনি জানান, লাটারি বিক্রি করে দিনে ২০০ টাকা আয় হয়। কোন দিন তাও হয় না। ছেলে ভূগোল নিয়ে পড়তে চায়, কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও ক্ষমতা নেই। মাস খানেক আগে জয়ের দাদু মারা গিয়েছেন। ফলে দাদুর চপের দোকান এখন বন্ধ। মূলত দাদুই পড়াশোনার খরচ চালাত জয়ের। মামা গোপাল বিশ্বাস একটি কারখানায় কর্মরত। সেই আয়েই কোনও রকমে দিন গুজরান হয় তাঁদের।
দিদা সুভদ্রাদেবী বলেন, ‘‘ওর মামা মাসে যা রোজগার করেন, তা খাওয়ার খরচেই চলে যায়। ও কোচবিহারে পড়তে চায়। সেখানে যাতায়াতেই কয়েক হাজার টাকা খরচ। এ আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো। তার উপর বই-খাতা, টিফিনের খরচ আলাদা।’’ জয় জানায়, বড় হয়ে সে অধ্যাপনা করতে চায়। আলিপুরদুয়ার কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য তথা প্রবীণ আইনজীবী জহর মজুমদার বলেন, ওকে পঠনপাঠনে আর্থিক ভাবে আমরা সাহায্য করব।’’