—প্রতীকী ছবি।
বাংলার বিভিন্ন ব্রতের মধ্যে ইতু পূজার ব্রত উল্লেখযোগ্য। ইতু পূজা সাধারণত মহিলাদের ব্রত। কার্তিক মাসের সংক্রান্তিতে (মাসের শেষ দিন) এই ব্রত শুরু হয়। পুরো অগ্রহায়ণ মাস ধরে এই ব্রত পালন করা হয়। অগ্রহায়ণের সংক্রান্তির দিন এই ব্রত শেষ হয় ইতু বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।
একটি মাটির পাত্রে মাটি ভরে কচু, কলমি লতা, আখ, শুষনি, ধান, পাঁচ কলাই প্রভৃতি (পারিবারিক প্রথা অনুসারে গাছ এবং রীতির পরিবর্তন হয়) গাছ এবং বীজ বপন করে ইতু বানিয়ে তাকে পূজা করা হয়। প্রতি দিন শুদ্ধ বস্ত্রে শুদ্ধ মনে ইতুকে জল দান করা এই পুজোর রীতি। এ ছাড়াও প্রতি রবিবার ব্রাহ্মণ দিয়ে নৈবেদ্য সহযোগে পূজা করাতে হয় এবং ইতুর ব্রত কথা শুনতে হয়। পুরো অগ্রহায়ণ মাস ধরে পূজার পর অগ্রহায়ণ সংক্রান্তিতে পুকুর বা নদীতে ইতুর বিসর্জন দিতে হয়।
ইতু কী বা কে এই ব্যাপারে মতভেদ আছে। কেউ কেউ মনে করেন ইতু পূজার অর্থ হল সূর্য পূজা। এই কারণেই অগ্রহায়ণ মাসের প্রত্যেক রবিবার ব্রাহ্মণ দিয়ে ইতুর পূজা করানো হয়।
কেউ কেউ আবার মনে করেন ইতু পূজা করার অর্থ হল ইন্দ্রদেবের পূজা করা। পূজা যে দেবতারই হোক না কেন, পূজার মূল উদ্দেশ্য হল সাংসারিক কল্যাণ ও শ্রীবৃদ্ধি ঘটানো। ভক্তিভরে ইতু পূজার ব্রত করলে আর্থিক উন্নতি এবং সংসারের শ্রীবৃদ্ধি লাভের সঙ্গে সঙ্গে মনোবাসনাও পূরণ হয়।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে:
শ্রীশ্রী ইতু পূজার শুরু:
বাংলা– ৩০ কার্তিক, শনিবার।
ইংরেজি– ১৬ নভেম্বর, শনিবার।
শ্রীশ্রী ইতু পূজার শেষ এবং বিসর্জন:
বাংলা- ২৯ অগ্রহায়ণ, রবিবার।
ইংরেজি- ১৫ ডিসেম্বর, রবিবার।
গুপ্তপ্রেশ পঞ্জিকা অনুসারে:
শ্রীশ্রী ইতু পূজার শুরু:
বাংলা– ৩০ কার্তিক, শনিবার।
ইংরেজি– ১৬ নভেম্বর, শনিবার।
শ্রীশ্রী ইতু পূজার শেষ এবং বিসর্জন:
বাংলা- ৩০ অগ্রহায়ণ, সোমবার।
ইংরেজি- ১৬ ডিসেম্বর, সোমবার।