শহরের সূর্যনগর এলাকায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক পড়ুয়ার। মোবাইলে গেম খেলতে বারণ করায় বুধবার সকালে অভিমানে সে আত্মঘাতী হয় বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের।
মৃতের নাম সৌম্যদীপ রায় (১৪)। এ দিন সকালে পরিবারের লোকেরা গেম বন্ধ করে তাকে পড়তে বসে বলে। কিছুক্ষণ পরে পড়ার ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজার ছিটকিনি আটকে দেয় সৌম্যদীপ। অনেক ডাকাডাকিতে সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘মোবাইল ফোনে শিশুদের আসক্তি বাড়ছে। অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।’’
সৌম্যদীপের বাবা সন্দীপ রায় অসমের বঙ্গাইগাঁও এলাকায় ব্যবসা করেন। তিনি জানান, ছেলে পড়াশোনায় ভাল ছিল। আলিপুরদুয়ারের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করত। তিনি বলেন, ‘‘সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই ওকে স্মার্টফোন কিনে দিইনি। আমার বা ওর মার মোবাইল নিয়ে মাঝে মধ্যেই ভিডিও গেম খেলত।’’
এ দিন সকালে দেরিতে ওঠায় পড়তে যায়নি সৌমদীপ। বেলা এগারোটা নাগাদ অন্য জায়গায় পড়তে যাওয়ার কথা ছিল। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বাবার সঙ্গে বসে ভাতও খায়। সেই সময় গেম খেলছিল সে। সন্দীপবাবু বলেন,“আমি মানা করি। বলি পড়াশোনায় মন দিতে। ও বলেছিল আমার মোবাইলটা ওর কাছে রেখে যেতে। কিন্তু আমি মোবাইল নিয়ে কাজে বের হই। স্টেশনে পৌঁছেই ওর মার ফোন পাই। বলে ও ঘরের দরজা বন্ধ করেছে। কেন এমন করল বুঝতে পারছি না।”