স্বাভাবিক: ব্যসবসায়ী সংগঠনের বন্ধে প্রভাব পড়েনি যান চলাচলে। শুক্রবার শিলিগুড়ি তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে। ছবি: স্বরূপ সরকার।
লকডাউনের পুরনো ছবি যেন ফিরে এল আরও একবার। শুধু গাড়ি চলছে। এ দিকে সমস্ত বাজার, দোকানপাট সব বন্ধ। শুধু পাড়ায় পাড়ায় কিছু ছোট দোকান খোলা। ব্যবসায়ীদের ডাকা ব্যবসা বন্ধে এমনই ছবি দেখা গেল শিলিগুড়িতে। জিএসটিকে সরলীকরণ ও এবারের বাজেটের নানা পদক্ষেপের বিরোধীতায় এই বন্ধ ডাকা হয়েছিল শুক্রবার। এই বন্ধের জেরে শুধু শিলিগুড়িতেই ৫০০ কোটির ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ইস্টার্ন এবিসি চেম্বার অফ কমার্স অ্যাণ্ড ইন্ডাস্ট্রিসের।
অগ্নিমূল্য জ্বালানি, জিএসটি ব্যবস্থা সরলীকরণের দাবিতে এদিন দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছিল দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রের্ডাস। শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গেও ব্যবসা বনধ করায় প্রচারে নামে ইস্টার্ন এবিসি চেম্বার অফ কমার্স অ্যাণ্ড ইন্ডাস্ট্রিস। এ দিন শিলিগুড়ির সমস্ত বড় মার্কেটগুলি বন্ধ ছিল। এ ছাড়াও বিধান রোড, হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, এস এফ রোড সহ সর্বত্র দোকান খোলা হয়নি। শুধুমাত্র ওষুধের দোকান খোলা ছিল। সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির তরফে কেন্দ্রের নানা সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে মিছিল বের করা হয়। দুপুরে ব্যবসায়ীদের তরফে জিএসটি দফতরে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এদিন ইস্টার্ন এবিসি চেম্বার অফ কমার্স অ্যাণ্ড ইন্ডাস্ট্রিসের আহ্বায়ক সুরজিৎ পাল বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে প্রতিটি ব্যবসায়ী বন্ধকে সমর্থন করে দোকান বন্ধ রেখেছিলেন। কেন্দ্রের কিছু নীতির জেরে শুধুমাত্র দেশের কিছু বড় ব্যবসায়ীদের সুবিধা হচ্ছে। তার মধ্যে জিএসটি গলার ফাঁস হয়ে উঠেছে ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে। এই জিএসটিতে বহু ভুল রয়েছে। যেগুলি আজও সমাধান করা হয়নি।’’
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘ব্যবসার শহর শিলিগুড়ি। একদিনের এই বনধের জেরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হল। আমরা এই বনধ করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বার্তা দিতে চাইছি যে ছোট ব্যবসায়ীদের কথা ভাবা দরকার।’’ এদিকে এই বন্ধের জেরে বেশ সমস্যায় পড়েন বহু মানুষ। বিধান মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেটে বাজার করতে গিয়ে ঘুরে যেতে হয় অনেককে। পর্যটকেরাও হয়রান হন বলে অভিযোগ। তবে ব্যবসায়ীদের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার আগামীতে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কথা না ভাবলে ও জিএসটিকে সরল না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।