পুনর্বাসনের দাবিতে বন্‌ধ, বিপর্যস্ত মিরিক

দ্রুত পুনর্বাসনের দাবিতে ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ডাকা বন্‌ধে মিরিকের জনজীবন বিপর্যস্ত হল মঙ্গলবার। এ দিন বারো ঘণ্টার মিরিক বন্‌ধ ডেকেছিল টিঙলিং যৌথ ক্ষতিগ্রস্ত পুনর্বাসন কমিটি। এর জেরে এ দিন মিরিকের সিংহভাগ বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৬ ০২:২৭
Share:

দ্রুত পুনর্বাসনের দাবিতে ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ডাকা বন্‌ধে মিরিকের জনজীবন বিপর্যস্ত হল মঙ্গলবার। এ দিন বারো ঘণ্টার মিরিক বন্‌ধ ডেকেছিল টিঙলিং যৌথ ক্ষতিগ্রস্ত পুনর্বাসন কমিটি। এর জেরে এ দিন মিরিকের সিংহভাগ বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল।

Advertisement

রাস্তায় যানবাহনের দেখা মেলেনি। বন্ধ ছিল সরকারি-বেসরকারি অফিসও। কমিটির দাবি, ক্ষতিগ্রস্তদের দিরুত লিম্বু গাঁও থেকে সরিয়ে অন্যত্র পুনর্বাসন দিতে হবে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ধসের কারণে ওই পাহাড়ি এলাকায় পাথর-মাটি নড়বড়ে হয়ে রয়েছে। যে কোনও সময়ে ফের ধস নামতে পারে। ১ জুলাই রাতে মিরিকের পাহাড়ে ধসে লিম্বু গাওঁয়ের ১৬ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়। এখনও তিন বাসিন্দা নিখোঁজ রয়েছেন। ধসে চারটি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে যায়। কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেড়শো বাড়ি।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধসের পরে তাঁদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরে সাত মাস কেটে গেলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কয়েক মাস পরেই বর্ষার সময়ে ফের ধস নামার আশঙ্কা বাসিন্দাদের।

Advertisement

দার্জিলিঙের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘গ্রামটি একটি চা বাগানের মধ্যে পড়ে। পুনর্বাসন দেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট চা বাগান কর্তৃপক্ষেরই। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব তৈরি হয়েছে।’’ এলাকার জিটিএ সদস্য অরুণ সিঙ্গে বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। জেলা প্রশাসন এবং চা বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।’’

আন্দোলনকারী কমিটির সভাপতি টমাস থাপা বলেন, ‘‘ধসের পরে পাহাড়ের পাথরগুলির যে পরিস্থিতি হয়েছে, তাতে ফের একটি ধস নামতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছি। সে কারণেই আমরা আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement