গুলিকাণ্ডে রাজ্য পুলিশকে ‘পরামর্শ’ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
Sitalkuchi

ছন্দ ফেরেনি জীবনে, মুখে শাস্তির দাবি

শীতলখুচিতে নিহতদের পরিজনদের অনেকে অবশ্য ঘটনার ব্যাপারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের কথা শনিবার সন্ধ্যেতেও শোনেননি।

Advertisement

অরিন্দম সাহা ও উৎপল অধিকারী

কোচবিহার ও শীতলখুচি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২১ ০৬:২০
Share:

ঘটনার দিন শীতলখুচির ১২৬ নম্বর বুথ। ফাইল চিত্র।

ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দেড় মাসের বেশি সময়। স্বজন হারানোর শোক এখনও মৃতের পরিজনদের চোখেমুখে। মাঝেমধ্যেই প্রিয়জনের জন্য কেউ কেঁদে উঠছেন কেউ। এখনও জীবন স্বাভাবিক হয়নি তাঁদের। জলচোখে দোষীদের শাস্তির দাবিও তুলছেন তাঁরা। চতুর্থ দফার ভোটের দিন শীতলখুচির বুথে গুলিকাণ্ডে নিহতদের আত্মীয়, পরিজনদের অনেকেরই এভাবে দিন কাটছে। ওই দিন শীতলখুচির জোরপাটকি এলাকার একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্তে বিশেষ দল করেছে সিআইডি। শনিবার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফেও গুলিকাণ্ডের ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্য পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইডি) ওই ঘটনার তদন্ত করছে। ডিআইজি সিআইডি কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চার সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) করা হয়েছে। সিআইডির একটি দল ইতিমধ্যে একাধিকবার শীতলখুচিতে যান। সেখানে ঘটনার পুর্ণনির্মাণ হয়। মৃতদের পরিজনদের সঙ্গেও তদন্তকারীরা কথা বলেন। সেখানে কাদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়েছিল সেসব বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হয়। সেইসঙ্গে তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার-সহ মাথাভাঙার একাধিক পুলিশ কর্তাকে কলকাতার ভবানী ভবনে ডাকা হয়। তদন্তের কাজে কলকাতায় গিয়েছেন জেলা সিআইডির কর্তারাও।

সিআইডির একটি সূত্রে দাবি, তদন্তে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। ঘটনার দিন বুথের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও ডাকা হয়েছিল। যদিও সেই নির্ধারিত দিনে সিআইডির দফতরে তাঁরা আসেননি বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

শীতলখুচিতে নিহতদের পরিজনদের অনেকে অবশ্য ঘটনার ব্যাপারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের কথা শনিবার সন্ধ্যেতেও শোনেননি। গুলিকাণ্ডে মৃত হামিদুল মিঁয়ার স্ত্রী আজিমা বলেন, ‘‘আমার স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় দোষীর কড়া শাস্তি চাই।’’ গুলিকাণ্ডে মৃতের অন্য এক আত্মীয় রাণু খাতুন বলেন, ‘‘মানবাধিকার কমিশন কী বলেছে সেটা নিয়ে আমার জানা নেই। আমরা কেবল দোষীর শাস্তি চাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement