ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তাজমুল হোসেন। —নিজস্ব চিত্র।
ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী। লাঠি উঁচিয়ে তাঁকে তাড়া করলেন গ্রামের মহিলারা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, নিজেকে বাঁচাতে নৌকায় উঠে পড়তে হয় মন্ত্রীকে!
রবিবার দুপুরে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রশিদপুর গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী তাজমুল হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিডিও তাপসকুমার পাল ও অন্য প্রশাসনিক কর্তারা। সেখানেই তাজমুলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, গত কয়েক দিনে ফুলহার নদীতে জলস্তর অনেকটা বেড়েছে। যার ফলে রশিদপুরের নদীপারের এলাকা ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামের কয়েকটি বাড়ি, দোকান ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে নদী। কিন্তু সরকারের কোনও হেলদোল নেই। প্রশাসনিক আধিকারিকদের কেউই গ্রামে আসেননি। ত্রাণেরও ব্যবস্থা করা হয়নি। এই অভিযোগ তুলেই মন্ত্রী ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। রীতিমতো হাতে লাঠি নিয়ে মন্ত্রী ও বিডিওকে তাড়া করতে দেখা যায় গ্রামের মহিলাদের।
গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় রশিদপুরে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নৌকায় করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় মন্ত্রী তাজমুলকে। তিনি বলেন, ‘‘রশিদপুর গ্রামের খুবই খারাপ অবস্থা। সেচ দফতর কিছু কাজ করেছে। কিন্তু আরও কাজ বাকি আছে। সেচ দফতরকে বলব যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা শেষ করতে। আমি নিজেও সেচমন্ত্রীকে যা বলার বলব।’’ গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিডিও তাপসও। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কথা শুনলাম। কী করা যায়, তা উপর মহলের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে।’’