প্রতীকী ছবি।
চা শ্রমিকদের রেশন বিলির জট কাটাতে এ বার থেকে প্রতিটি বাগানেই গুদাম এবং অফিস ঘর তৈরি করছে রাজ্য সরকার।
সেখান থেকেই বিলি হবে খাদ্যশস্য। প্রথম পর্যায়ের ১২৮টি চা বাগানে এই ব্যবস্থা হবে। পর্যায়ক্রমে সব বাগানেই এমন ব্যবস্থা করা হবে। সোমবার খাদ্য দফতরের শিলিগুড়ি মহকুমা এবং পাহাড়ের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এক একটি অফিস ঘর এবং গুদাম তৈরি করতে খরচ হবে ৮ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা। এই টাকার কিছু অংশ খাদ্য, ও বাকিটা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর অথবা অন্য দফতর থেকে বরাদ্দ হবে।
খাদ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এই ব্যবস্থা চালু হলে চা শ্রমিকদের রেশন পেতে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। বাগান খোলা থাকুক অথবা বন্ধ, রেশন পাওয়া নিয়ে কোনও জটিলতাই থাকবে না।’’
এক সময়ে চা বাগানের পরিচালন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। বাগান বন্ধ হলে অথবা কোনও কারণে মালিকপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে গেলে রেশন পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হতো। এই ব্যবস্থা বদলে চা বাগান লাগোয়া গ্রামের রেশন দোকান থেকেও খাদ্যশস্য বিলির নির্দেশ দেওয়া হয়। তা নিয়েও বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগ ওঠে। এরপরেই প্রতিটি বাগানেই রেশন গুদাম এবং বিলি বণ্টন ব্যবস্থা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। চা বাগানে সরবরাহ হওয়া চাল-আটা নিম্নমানের বলেও বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চা বাগানে গুদাম হলে সরাসরি সেই বাগানের নামে খাদ্যশস্য বরাদ্দ হবে। তার ফলে কোন বাগানে কী ধরণের চাল-আটা সহ বিভিন্ন রেশনের সামগ্রী যাচ্ছে তা সহজেই যাচাই করে নেওয়া সম্ভব হবে বলে দাবি।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক একটি গুদামের আয়তন হবে চারশো বর্গ ফুট এবং অফিস ঘরের আয়তন হবে ২০০ বর্গফুট। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। তিনি বলেন, ‘‘এই নতুন ব্যবস্থায় সরবরাহ করা খাদ্যশস্যের মান নিয়ন্ত্রণও সম্ভব হবে।’’
চলতি বছরেই বেশিরভাগ চা বাগানে এই ব্যবস্থায় চালু করা যাবে বলে দাবি করা হয়েছে।