চিলাপাতায় সাফারিতে পর্যটকেরা। নিজস্ব চিত্র।
টানা এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পরে অবশেষে তালা খুলল চিলাপাতা রেঞ্জ অফিসের। ফলে মঙ্গলবার বিকাল থেকে সেখানে শুরু হয়ে গেল কার সাফারি। রেঞ্জ অফিস খুলে যাওয়ায় বনকর্তারা দ্রুত চিলাপাতায় কার সাফারির অনলাইন বুকিং-ও চালু করে দিতে চাইছেন। তবে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের আরও তিনটি রেঞ্জ অফিস অবশ্য এখনও তালাবন্ধ অবস্থাতেই রয়েছে।
বন সহায়ক নিয়োগ নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছুদিন থেকেই আন্দোলন চলছে। গত সপ্তাহের সোমবার আন্দোলনকারীদের একাংশই চিলাপাতা রেঞ্জ অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন বলে অভিযোগ। যার জেরে সে দিন থেকেই চিলাপাতায় কার সাফারি বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা রেঞ্জ অফিসের তালা না খোলায় পরে কার সাফারির অনলাইন বুকিং-ও বন্ধ করে দেয় বন দফতর। যার জেরে চিলাপাতা থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেন পর্যটকরা। আন্দোলনের জেরে আর্থিক প্রভাব পড়তে শুরু করে পর্যটন ব্যবসায়ীদের উপরও। তাঁরাও পাল্টা রাস্তা অবরোধ করেন।
সূত্রের খবর, এরইমধ্যে মঙ্গলবার বিভিন্ন এফপিসি কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আর তারপরই আন্দোলনকারীদের একাংশ রেঞ্জ অফিসের তালা খুলে দেন বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। চিলাপাতা ইকো ট্যুরিজ়ম সোসাইটির সভাপতি গণেশ শা বলেন, “রেঞ্জ অফিসের তালা খুলে যাওয়ায় এদিন বিকালে চিলাপাতার জঙ্গলে কার সাফারি হয়েছে। আশা করছি, সব আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।” জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, “রেঞ্জ অফিস খুলে যাওয়ায় এদিন চিলাপাতায় কার সাফারি শুরু হয়েছে। দ্রুত সাফারির অনলাইন বুকিং-ও চালু করে দেব।”
তবে বন সহায়ক নিয়ে একই আন্দোলনের জেরে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের আরও তিনটি রেঞ্জ অফিস- জলদাপাড়া দক্ষিণ, মাদারিহাট ও লঙ্কাপাড়ায় এখনও তালা ঝুলছে। যদিও জলদাপাড়ার বনকর্তাদের আশা, একটি রেঞ্জ অফিসের তালা খুলে যাওয়ায় বাকিগুলিও দ্রুত খুলে যাবে।