উদ্ধার করা প্য়াঙ্গোলিন। নিজস্ব চিত্র।
পাচারের আগে প্যাঙ্গোলিন উদ্ধার করল সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)। শুক্রবার সকালে নকশালবাড়ির অটল সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ে ২ জাতীয় সড়কে ওই অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে চার অভিযুক্তকে।
এসএসবি সূত্রের খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি গাড়ি আটক করা হয়। সেটিতে তল্লাশি চালিয়ে প্যাঙ্গোলিনটি উদ্ধার করেন এসএসবি-র ৪১ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ান ও অফিসারেরা। ঘটনায় গাড়ির চালক সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ফিরোজ খান, ঝরিয়া হেমব্রম, ইক্রামুল হক ও অমিত বসুমাতা। তারা আলিপুরদুয়ার এবং দুই দিনাজপুরের বাসিন্দা।
পরে ধৃতদের বাগডোগরা বনবিভাগের হাতে তুলে দেয় এসএসবি। বন দফতর সূত্রের খবর, অসমের বারবিশা সংলগ্ন এলাকা থেকে প্যাঙ্গোলিনটি নিয়ে আসার পর বাগডোগরা হয়ে নেপালে পাচারের ছক কষেছিল ধৃতরা। এটি ‘চিনা প্যাঙ্গোলিন’ প্রজাতির বলে জানিয়েছেন এক বনকর্তা। উত্তরবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গলে এদের দেখা মেলে।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব জুড়েই প্যাঙ্গোলিন পাচারের ঘটনা বাড়ছে। প্যাঙ্গোলিনের আঁশ মূলত চিন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের টোটকা এবং হাতুড়ে ডাক্তারদের ওষুধ তৈরিতে সে সব কাজে লাগানো হয়। এর আগেও অসম থেকে প্যাঙ্গোলিন পাচারের ঘটনা সামনে এসেছে।