মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছেয় মালদহ শহরে একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের জন্য একটি জায়গা দেখা হয়েছিল। শহরের রামকৃষ্ণ মিশনের পাশে ২০১১ সালে সাড়ে আট একরের একটি জমি রাজ্যের ক্রীড়া দফতরকে হস্তান্তরও করেছিল ভুমি ও ভুমি রাজস্ব দফতর। কিন্তু এখনও সেই জমিতে প্রকল্পের একটি ইটও গাঁথা হয়নি। সেই ফাঁকা জমিতে ইংরেজবাজার পুরসভা বড় বড় পাইপ ফেলে রেখেছে। তৈরি হয়েছে বেআইনি ঝুপড়িও।
ঘোষণার আট বছর পরেও স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ মালদহের ক্রীড়ামহল। অনেকের অভিযোগ, এই কমপ্লেক্সের দাবি বহুদিনের। কিন্তু এখনও তা না পাওয়ায় খেলাধূলার সঙ্গে যুক্ত তরুণেরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রানাথ ঘোষ বলেন, ‘‘আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। খোঁজ নেব, কেন স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে না, কোথায় সমস্যা। পুরসভার সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করব।’’
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেতেই ভুমি দফতর ওই জমিটি ক্রীড়া দফতরকে ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে হস্তান্তর করে। সেই সময় নির্দিষ্ট ভাবে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই জমিতে বাণিজ্যিক কিছু করা যাবে না। ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতর ওই জমি লিজ দিতে বা বিক্রি করতে পারবে না এবং কাউকে হস্তান্তরও করতে পারবে না। ক্রীড়া দফতর একটি কমিটি তৈরি করবে। তারাই স্পোর্টস কমপ্লেক্সের দেখভাল করবে। কিন্তু এত কিছুর পরেও জেলা প্রশাসন ওই জমিতে কমপ্লেক্স করতে পারেনি।
ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বাবলা সরকার বলেন, ‘‘ওই জমিতে ৪০০ মিটার ট্র্যাক, ফুটবল মাঠ, ভলিবল কোর্ট তৈরি হবে। জেলাশাসক পূর্ত দফতরকে দিয়ে একটি প্রকল্প, নকশা তৈরি করাচ্ছেন। ক্রীড়া দফতর মঞ্জুর করলে কাজ শুরু হবে।’’ তিনি জানান, ওই স্পোর্টস কমপ্লেক্স রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসন, রামকৃষ্ণ মিশন এবং ক্রীড়া জগতের বিশিষ্টদের নিয়ে কমিটি তৈরি করে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কাজ চালানো হবে।
মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের প্রস্তাব কলকাতায় ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরে পাঠিয়েছি। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।’’