ছবি সংগৃহীত
দলবদলের পর কেটে গিয়েছে ১৮ দিন। অথচ, এখনও মালদহেই ফেরেননি গাজলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। বুধবারও কলকাতাতেই রয়েছেন দীপালি বলে দাবি ঘনিষ্ঠদের। দীপালির জেলায় না ফেরা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
গত, ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন গাজলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস ও তাঁর স্বামী রঞ্জিত। তাঁরা ছিলেন সিপিএমে। সিপিএমের টিকিটে গাজলে জয়ী হয়েছিলেন দীপালি। পরে শুভেন্দুর হাত ধরেই দীপালি যোগ দেন তৃণমূলে।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে জেলায়-জেলায় সভা করছেন শুভেন্দু। তবে এখনও মালদহে ফেরেননি দীপালি ও রঞ্জিত। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের দাবি, এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি গাজলে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। সেই সাফল্য ধরে রাখতে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানী দল। এমন অবস্থায় দীপালি ছাড়াও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সুশীল সরকার। বিধানসভা ভোটে সুশীলকে হারিয়েছিলেন দীপালি। দীপালি এবং সুশীল দুজনেই টিকিটের দাবিদার বলে জানান বিজেপি নেতৃত্ব।
ওই আসনে আদি বিজেপিরও একাধিক মুখও টিকিটের দাবিদার। ফলে টিকিট নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে গাজলে। এমন অবস্থায় আসরে নেমেছে সঙ্ঘ পরিবার। বিজেপির এক নেতা বলেন, “গাজলের টিকিট কে পাবেন, তা ঠিক করবে সঙ্ঘই।” আর তাতেই অস্বস্তিতে পড়েছেন দীপালি বলে দাবি ঘনিষ্ঠ মহলের। তাদের দাবি, এখনও টিকিট নিয়ে দীপালিকে সবুজ সংকেত দেয়নি বিজেপি। তাই কলকাতা থেকে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন দীপালি ও রঞ্জিত। যদিও রঞ্জিত বলেন, “দল যাকে প্রার্থী করবে তা মেনে নেব। বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে মাঠে নেমে কাজ করব।” বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, “টিকিটের বিষয় নিয়ে বিজেপি ভাবছে না। সংগঠনের কাজে সকলকে জোর দিতে বলা হয়েছে। টিকিট কে পাবে তা ঠিক করবে দলই।”