ফাইল চিত্র।
আগামী সপ্তাহেই হতে পারে মন্ত্রিসভায় রদবদল। সুযোগ কি পাবেন উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জয়ী উদয়ন গুহ? তা নিয়েই কানাঘুষো চলছে কোচবিহারে। উদয়ন অবশ্য এ বিষয়ে এখনও কিছু জানেন না বলে দাবি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৯ নভেম্বর উপনির্বাচনে জয়ী রাজ্যের শাসক দলের চার প্রার্থীর বিধায়ক পদে শপদগ্রহণ অনুষ্ঠান রয়েছে। সে জন্যে কলকাতা যাচ্ছেন উদয়ন। কিন্তু ওই দিন মন্ত্রিসভার রদবদল হবে কি না তা নিয়ে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি।
উদয়ন নিজেও বলেছেন, “শপথ নিতে কলকাতায় যাচ্ছি। মন্ত্রিসভার রদবদলের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়।” উদয়ন অনুগামীরা অবশ্য জল্পনা শুরু হতেই আশায় বুক বেঁধেছেন। কেউ কেউ উদয়নকে মন্ত্রী করার দাবি তুলেছেন। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “মন্ত্রী কাকে করা হবে না হবে, তা ঠিক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাই ওই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তিনিই নেবেন।”
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারে ভাল ফল করেনি তৃণমূল। জেলার ৯ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২ টি আসন ধরে রাখতে হয় পেরেছে তারা। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, তা নিয়ে সন্তুষ্ট হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার এক সময় তৃণমূলের গড় হিসেবেই পরিচিত ছিল। তা পুনরুদ্ধার করতে দলীয় নেতৃত্বকে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন দলনেত্রী। পাশাপাশি, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থেকে জয়ী প্রার্থী পরেশ অধিকারীকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এক বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়াকে অবশ্য মন্ত্রী করা হয়নি। বাম আমলে কোচবিহারে থেকে ২ জনকে মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হত। তার মধ্যে একটি আসন তফসিলি সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ ছিল। তৃণমূল আমলেও একটা বড় সময় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে মন্ত্রী করা হয়। এবারে অবশ্য দু’জনেই ভোটে পরাজিত হয়েছেন। তার আগে মন্ত্রী করা হয়েছিল হিতেন বর্মণকে। তাঁকে এবারে বিধানসভায় টিকিট দেওয়া হয়নি। পরেশ অধিকারী তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। স্বাভাবিক ভাবেই উদয়ন গুহকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে অনেকেরই ধারণা।
উদয়ন অনুগামীদের একটি বড় অংশের দাবি, দিনহাটাতেই বিজেপির স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি। তাঁকে চাপে রাখার জন্য এবং উন্নয়নের কাজের জন্য উদয়নকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। অবশ্য পাশের কেন্দ্র সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার অনুগামীদের একটি অংশের দাবি, মন্ত্রী করা হলে জগদীশকে করা উচিৎ। কারণ তিনি পর পর দুটি বিধানসভায় জয়ী হয়েছেন। আর নিশীথের প্রধান শক্তি ছিল দিনহাটার সিতাই বিধানসভায়। বিধানসভা ভোটে ওই অংশেই নিশীথকে কোণঠাসা করেন জগদীশ। শেষ পর্যন্ত কী হবে সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।