প্রতীকী ছবি।
আগামী ২ মে থেকে গরমের ‘বিশেষ ছুটি’ চালু করছেন না কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সেই বিষয়ে উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় আধিকারিক, কর্মকর্তা থেকে কোচবিহার অধ্যক্ষ পরিষদের কর্তা, একাধিক কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলেন। তার ভিত্তিতেই এখনই গরমের বিশেষ ছুটি চালু না করার সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তার দাবি, রাজ্য সরকার বা শিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটির ব্যাপারে চূড়ান্ত নির্দেশিকা দেয়নি। এলাকার পরিস্থিতি অনুযায়ী অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সে জন্যই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “গরমের বিশেষ ছুটির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে এলাকার পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলেছি।” তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ১৭টি কলেজ এখন খোলা থাকবে। ওই ব্যাপারে কী কলেজগুলিকে কোন নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে? উপাচার্য বলেন, “বন্ধ করা হলে নির্দেশিকা দেওয়া হত। সেটা হচ্ছে না। যাঁরা জানতে চেয়েছেন তাঁদের সঙ্গে অধ্যক্ষ পরিষদের কর্তাকেও জানান হয়েছে।”
কোচবিহারে এ বার এপ্রিলের শুরু থেকেই মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ১ মে পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ মৌসম সেবা কেন্দ্র। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারেও একইভা বে বৃষ্টির পূর্বভাস রয়েছে। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে চড়া রোদ ছিল না। এ দিনও মৃদু হাওয়া থাকায় ‘দাবদাহ’ অনুভূত হয়নি বলেই অনেকের দাবি। সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোচবিহার অধ্যক্ষ পরিষদের এক কর্তা তথা কোচবিহার কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, “ ১ থেকে ৩০ জুন আমাদের কলেজে গরমের জন্য ক্লাস বন্ধ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। এখন ক্লাস হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তী নির্দেশ দিলে সেই মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ওই বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়েছে।”
এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে পড়ুয়াদের একাংশও উপাচার্যকে আপাতত ক্লাস বন্ধ না করার আর্জি জানান। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, টিএমসিপি নেতা উত্তম ঘোষ বলেন, “এখানে ক্লাসগুলি চালু রাখা যেতে পারে।”