নালিশ কেন, উত্তরা, সৌরভ কথা

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের খসড়া বাজেটের সভায় নবগঠিত বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, ট্রেজারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানানো হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:১৬
Share:

সৌরভ চক্রবর্তী।

ট্রেজারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগিতা’র নালিশ কেন তোলা হয়েছে, তা জানতে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণের সঙ্গে কথা বললেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের খসড়া বাজেটের সভায় নবগঠিত বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, ট্রেজারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানানো হবে। তাদের অভিযোগ, চর্তুদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ করা প্রায় ৪০ কোটি টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের অ্যাকাউন্টে না পাঠিয়ে ট্রেজারি আটকে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়াকে এ কথা জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি। সে কথা প্রকাশ পেতেই প্রশাসন এবং তৃণমূলের অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দলের একাংশের দাবি, এ দিন সৌরভ যে সভাধিপতিকে ডেকে পাঠিয়েছেন, তার থেকে স্পষ্ট, তাঁরা এ বিষয়ে কিছু জানতেন না। সৌরভ নিজেও বলেন, ‘‘কী হয়েছে খোঁজ নেব।’’ শাসকদলের অন্দরের খবর, ভোটের আগে প্রশাসনের সঙ্গে আপাতত ‘নরম-গরম’ নীতি বজায় রাখতে চাইছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, ভোটের আগে উন্নয়নের কাজ যে শুরু করা যায়নি, সেটা এখন এই ভাবে ধামাচাপা দিতে চাইছে তৃণমূল।

সপ্তাহ খানেক আগেই জলপাইগুড়িতে পাহাড়পুর, পাতকাটা-সহ সদর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত ব্লক প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাস্তায় নেমে আন্দোলনও করে। এক প্রধানের কথায়, “আমাদের কত রাজনৈতিক বাধ্যবাধ্যকতায় কাজ করতে হয়, তা প্রশাসনের আধিকারিকরা বুঝবেন না। পঞ্চায়েত ভোটের কয়েক মাস পরেই লোকসভা ভোট। গ্রামবাসীদের কাজ দেখাতে না পারলে ভোট পাব না। তখন দলই আমাদের পদ নিয়ে টানাটানি করবে।”

Advertisement

শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের দাবি, বিভিন্ন তহবিলে বরাদ্দ করা, প্রকল্প অনুমোদন করতে প্রশাসনিক জটিলতায় বেশি সময় চলে যাচ্ছে। তাতেই কাজ পিছিয়ে পড়ছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা তৎপর হলে তা এড়ানো যেত বলে দাবি। তাই প্রশাসনকে চাপে রাখতে পথে নেমে আন্দোলন বা মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ জানিয়ে চিঠি। অন্য দিকে, প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় না রাখলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। দলের জেলা নেতৃত্ব সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলবে বলে সূত্রের খবর।

তবে তৃণমূলের একাংশ জেলা নেতা চিঠি নিয়ে অন্য বির্তকও খুঁজে পাচ্ছেন। তাঁদের মতে, এই চিঠির বয়ান দেখে বোঝা যায়, এটা অত্যন্ত পাকা মাথার কাজ। কয়েক মাস হল প্রথমবারে সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতির দায়িত্ব সামলানো দু’জনের পক্ষে এমন প্রশাসনিক বয়ান লেখা সম্ভব নয় বলেই তাঁদের দাবি। সে ক্ষেত্রে এর পিছনে কোনও আমলার হাত রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement