উদ্ধার হওয়া সেই সাপ। — নিজস্ব চিত্র।
সৌভাগ্য আনবে সাপ! তার দাম স্থির হয়েছিল এক কোটি টাকা। কিন্তু এত দাম হওয়ায় খদ্দের মিলছিল না। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে বন দফতর। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়ির শাস্ত্রীনগরে। উদ্ধার হয়েছে সাপটিও।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাপ বিক্রি করতেই বিহার থেকে ৩ জন হাজির হয়েছিলেন শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ির শাস্ত্রীনগরের বাসিন্দা পাসাং লামা নামে এক জনের বাড়িতে ঘাঁটি গাড়েন ওই ৩ জন। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন পাসাংও। এ ছাড়া অরিন্দম সরকার এবং জগদীশচন্দ্র রায় নামে শিলিগুড়ির ২ মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভও যুক্ত হন ওই চক্রের সঙ্গে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চক্রটি সাপের দাম নির্ধারণ করে এক কোটি টাকা। বন দফতরের দাবি, এর পর থেকে একাধিক খদ্দেরের আনাগোনা শুরু হয় পাসাংয়ের বাড়িতে। শুরু হয় দরাদরিও।
এর পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে শাস্ত্রীনগরে হানা দেন বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা। তবে অভিযান চলাকালীন পালিয়ে যান ২ জন। সাপ-সহ হাতেনাতে ধরা পড়েন ৪ জন। বন দফতরের দাবি, বিহার থেকে সাপ নিয়ে এসেছিলেন আনোয়ার মিয়া নামে এক জন। পাসাং তাঁদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেন বলে অভিযোগ। খদ্দের খোঁজার কাজ শুরু করেন অরিন্দম এবং জগদীশ। ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে বন দফতর। মঙ্গলবার তাঁদের হাজির করানো হয় জলপাইগুড়ি আদালতে। এই নিয়ে বৈকুণ্ঠপুরের ডিএফও হরিকৃষ্ণণ বলেন, ‘‘মানুষের বিশ্বাস, ওই সাপ বাড়িতে থাকলে সৌভাগ্য আসে। রাজস্থান এবং দক্ষিণ ভারতের দিকে ওই সাপটি পাওয়া যায়। এই সাপটিও রাজস্থান থেকে বিহার হয়ে শিলিগুড়ি আনা হয়েছে। এর দাম স্থির করা হয়েছিল এক কোটি টাকা। কিন্তু খদ্দেরের অভাবে তা বিক্রি হচ্ছিল না।’’ বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সাপটি রেড স্যান্ড বোয়া প্রজাতির।