করোনা-ত্রাস মোকাবিলায় অন্যতম অস্ত্র সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। কিন্তু এই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে মানুষের মধ্যে কি মানসিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছে? করোনা আতঙ্কের মধ্যে এই বিষয়টিও আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মনস্তত্ত্ববিদ দীপঙ্কর কাঞ্জি।
• করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গোটা বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকার নিয়েছে। রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। কোনও ওষুধ নেই। রোগীদের উপসর্গ দেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। একমাত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেই রোগ কম ছড়াবে। এ ছাড়া অন্য উপায় নেই। বিষয়টি মানুষকে বুঝতে হবে।
• কিন্তু এই সামাজিক দূরত্বকে বজায় রাখতে গিয়ে মানুষের মধ্যে মানসিক দূরত্ব হচ্ছে, তা যুক্তিযুক্ত নয়। মানুষ যদি রোগটি সম্বন্ধে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিয়ে সচেতন হন, তবে কোনও ভাবেই তা মানসিক দূরত্ব তৈরি করতে পারে না।
• কিছু ক্ষেত্রে হয়তো সচেতনতার অভাবে এমনটা মনে হতে পারে যে সামাজিক দূরত্বের জন্য একটা মানসিক দূরত্বও তৈরি হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে যিনি বিষয়টি নিয়ে সচেতন, তাঁকে অপর জনকে সচেতন করতে হবে। তাঁকে ভাল ভাবে বোঝাতে হবে যে এটা আমাদের বাঁচার লড়াই।
• বলে রাখা ভাল, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার অস্ত্র মাত্র তিনটি। প্রথম অস্ত্র, পার্সোনাল প্রোটেকশন বা নিজস্ব সুরক্ষা, দ্বিতীয় অস্ত্র পার্সোনাল হাইজিন বা নিজস্ব পরিচ্ছন্নতা এবং তৃতীয় তথা মুখ্য অস্ত্র মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।
• একটা জিনিস উপলব্ধি করতে হবে যে আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি। কে কথা বলল না, কেন বলল না এ সব ভাবার সময়ই নয়।
• এখন রেশন, মুদিখানা বা ওষুধের দোকান যেখানেই কেউ যান না কেন, দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে হবে। কার শরীরে এই রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে আছে তা চোখে দেখে বোঝা অসম্ভব। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে আমরা বাঁচতে পারব