প্রতীকী ছবি
নজর এখন ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।
এই ওয়ার্ড মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের খাসতালুক। সুতরাং আলোচনার কেন্দ্রে। আবার এই ওয়ার্ডে লড়াইয়ের জন্য শাসকদল তৃণমূলে দাবিদারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে! এই মুহূর্তে ঘাসফুল শিবিরের অন্তত পাঁচ জন দাঁড়াতে চাইছেন ওই ওয়ার্ড থেকে। দলীয় নেতৃত্বের আশঙ্কা, নিজেদের মধ্যে এই টানাপড়েনে কেউ কেউ যদি টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে যান, তা হলে হয়তো আবার অশোককে ‘উপহার’ দেওয়া হবে আসনটি। যদিও বামেরা তৃণমূলের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, ভোট কাটাকাটির প্রয়োজন হবে না, অশোক এমনিতেই জিতবেন।
তৃণমূলের লোকজনের বক্তব্য, গত বার টিকিট না পেয়ে গোঁজ প্রার্থী হয়েছিলেন মহম্মদ আলম। তিনি প্রায় ৮০০ ভোট পান। তৃণমূল প্রার্থী ৫০০ ভোটে হেরে যান। ঘাসফুল শিবির একে ‘ওয়াকওভার’ বলেই মনে করছে। যদিও মেয়র বলেন, ‘‘ওয়াকওভার পাওয়ার আশা করি না। তবে প্রার্থী হতে হলে আমি সবার আগে পছন্দ করব ওই ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে। ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পরে ওই ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়েই পুরভোটে কামব্যাক করেছি। ওই ওয়ার্ডের মানুষ বিপদে আমার পাশে থেকেছেন। তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’’ ওয়ার্ডের পরিষেবা তিনি কতটা দিতে পেরেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। মেয়রের জবাব, ‘‘সব কাজ করতে পেরেছি, কখনই বলব না। তবে এলাকার মানুষকে মর্যাদা দিয়ে দেখি। তাঁদের সমস্যাগুলি গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি।’’
তৃণমূলেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন গত বারের প্রার্থী অরূপরতন ঘোষ, একসময় সিপিএমের টিকিটে দু’বার এলাকার কাউন্সিলর হওয়া জয়ন্ত মৌলিক। এ ছাড়া যুব নেতা নিরঞ্জন সরকার, জেলা নেতা মিলন দত্ত এবং গত বারের মহম্মদ আলম। টিকিট কে পাবেন, তা দল এখনও চূড়ান্ত করেনি। তবে নেতারা এলাকায় জনসংযোগের কাজ শুরু করেছেন। বর্তমানে পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘আমরা এই আসনটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। গত বারের সমস্যা এ বার হবে না। একাধিক দাবিদার থাকতেই পারে। তবে সমস্যা মিটে যাবে।’’
নিরঞ্জন সরকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি করছেন। জয়ন্ত মৌলিকের অনুগামীদের দাবি, তিনি দাঁড়ালে সকলকে নিয়ে চলতে পারবেন। ওয়ার্ডে সাড়ে ছয় হাজারের মতো ভোটার। সংখ্যালঘু ভোট ৩৮ শতাংশ। তাই একাংশের দাবি সংখ্যালঘু প্রার্থী হলে ভাল।