Sivok Rangpo Railway Line

বিপর্যয়ের জের, ফের পিছোল সেবক-রংপো প্রকল্প

সামরিক প্রয়োজনে পরিবহণ তো বটেই, সেবক-রংপো প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা জরুরি ছিল পর্যটন এবং অসামরিক পরিবহণেরর জন্যেও।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ১০:০৩
Share:

ফের পিছল লাইনের কাজ। —ফাইল চিত্র।

এর আগেও একাধিকবার নানা কারণে পিছিয়ে গিয়েছে সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ। সর্বশেষ ধাক্কা সিকিমের রাস্তা খারাপ হওয়ার জেরে কাজ পিছিয়ে যাওয়া। আরও একবার পিছিয়ে যাচ্ছে এই রেল প্রকল্প। রেলেরই একটি সূত্রের দাবি, চলতি বছরের ডিসেম্বরের বদলে আগামী বছর অগস্ট নাগাদ শেষ হতে পারে প্রকল্পের কাজ। কেন পিছোচ্ছে কাজ? প্রকল্পে যুক্ত ঠিকাদার সংস্থা সূত্রের দাবি, সিকিমের রাস্তা দীর্ঘদিন খারাপ থাকার জন্য কাজের গতি ব্যাপক ভাবে মার খেয়েছে। বার বার ওই প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যাওয়ার জন্য চিন্তা বাড়ছে সব মহলেই। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে রবিবার সন্ধেয় বলেন, ‘‘রাস্তা খারাপ থাকার জন্য প্রকল্প পিছিয়েছে বলে ঠিকাদার সংস্থা আমাদের জানিয়েছে।’’

Advertisement

সামরিক প্রয়োজনে পরিবহণ তো বটেই, সেবক-রংপো প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা জরুরি ছিল পর্যটন এবং অসামরিক পরিবহণেরর জন্যেও। কিন্তু এই প্রকল্পের কাজ ক্রমাগত পিছিয়ে চলেছে। চলতি বছর আরও একবার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা। ঠিকাদার সংস্থার কার্যনির্বাহী বাস্তুকার মাহিন্দার সিংহ বলেন, ‘‘বিপর্যয়ের ফলে সিকিমের রাস্তা ভেঙে গিয়েছিল। সেই সময় দীর্ঘদিন প্রকল্পে নির্মাণ সামগ্রী, উপাদান বহন করা সম্ভব হয়নি।’’ পাহাড়ি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার রেলপথ এবং বেশ কয়েকটি সেতু নির্মাণ করে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল।

প্রকল্পটি নেওয়ার এক দশক পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ফের কাজ পিছোতে হল। রেল সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, কাজের উপরে নিয়মিত নজরদারি রেখে চলা হচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ঘটনা ঘটলে ঠিকাদার সংস্থারও তেমন কিছু করার থাকে না। কারণ, শিলিগুড়ি থেকেই সমস্ত জরুরি নির্মাণ সামগ্রী উপরে তুলতে হয়। কিছুদিন আগেও শিলিগুড়ি-সিকিম রোড ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল ধসের কারণে। রেল সূত্রের দাবি, সময় নষ্ট হওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি জায়গায় শ্রমিকের সংখ্যা বাড়িয়ে কাজ দ্রুত তোলা যায় কিনা তা দেখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ঠিকাদার সংস্থাকে। যদিও, ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৫ শতাংশ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে বলে সংস্থা সূত্রের দাবি। প্রকল্পের কয়েকটি সুড়ঙ্গ এবং সেতুর কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি সংস্থার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement