উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। — ফাইল চিত্র।
মেস বন্ধ করার নোটিস প্রত্যাহার করে হস্টেলে খাবার ব্যবস্থা হওয়ায়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা আপাতত আন্দোলন স্থগিত রেখেছেন। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতর খুলেছে। আগের দু’দিন পড়ুয়ারা ‘ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড’ বন্ধ করে আন্দোলন করায়, কোনও দফতর খোলা যায়নি। এ দিন পড়ুয়া-আন্দোলন না হলেও পরিস্থিতির বদল চেয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, উপাচার্যহীন পরিস্থিতিতে পড়াশোনা, আর্থিক লেনদেন সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ৫০ দিন ধরে উপাচার্য না থাকার ঘটনা ঘটল এবং পড়ুয়ারা ভাতের জন্য আন্দোলনে নামলেন। সংগঠনের সভাপতি দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘কেন উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে না, তার কারণ জানি না। কোনও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে, ক্ষমতা উপাচার্যকেন্দ্রিক। আচার্যকে আগেও চিঠি দিয়েছি। আবারও দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানালাম।’’
অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এবং শিক্ষাবিদের পরিচিতি রয়েছে, এমন কাউকে উপাচার্য করা হোক। তাদের অভিযোগ, এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ক্যাম্পাসের জমি হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট করতে হস্তান্তরের যে চেষ্টা হয়েছিল, তা দুর্ভাগ্যজনক। দাবি তোলা হয়েছে, এমন কাউকে নিয়োগ করা হোক, যাতে ওই ধরনের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সংগঠনের তরফে অমিত কুমার বলেন, ‘‘শ্রমদিবসের ভিত্তিতে নিযুক্ত ৫৬ জন কর্মী ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাননি। এ মাসের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ না হলে, শিক্ষক, কর্মীদের কেউই বেতন পাবেন না। আমরা চাই, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কাউকে উপাচার্য নিয়োগ করা হোক।’’
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তরফে সোমবার থেকে অভিভাবকহীন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটানোর দাবিতে আন্দোলনে নামার কথা জানানো হয়েছে। সংগঠনের উত্তরবঙ্গের প্রদেশ সম্পাদক শুভব্রত অধিকারী জানান, তাঁরা সোমবার থেকে অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামবেন। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে সংগঠনের পোস্টারও পড়েছে।