—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মঙ্গলবার রাত পোহালেই নতুন বছর। আর বর্ষবরণের রাতকে নির্বিঘ্নে পার করতে প্রস্তুতি শুরু করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ। ৩১ ডিসেম্বর সকাল থেকে সাধারণ ট্র্যাফিক এং পুলিশি নজরদারির পর বেলা ৪টের পর থেকে পুলিশি বন্দোবস্ত শুরু হতে চলেছে শিলিগুড়িতে। আজ, সোমবার কমিশনারেটের পদস্থ কর্তাদের নিয়ে শেষবেলার প্রস্তুতি বুঝে নেবেন পুলিশ কমিশনার সি সুধাকার। প্রয়োজনে পুলিশি ব্যবস্থার পাশাপাশি সোমবারই নতুন আরও কোনও নির্দেশিকা তিনি দিতে পারেন।
রবিবার পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘প্রতি বছরের মতো আনন্দে, উৎসবে শহরবাসী নতুন বছরকে স্বাগত জানাক। শিলিগুড়ি পুলিশ প্রস্তুত। তবে কারও উৎসব বা ফূর্তি অন্যের সমস্যার কারণ যাতে না হয় তা দেখতে হবে।’’ কমিশনারের কথায়, ‘‘নিয়ম মেনে আনন্দ উপভোগ হোক। বেআইনি কাজে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের সবক’টি থানা, মহিলা থানাকে সতর্ক নজরদারির কথা বলা হয়েছে। রাস্তায় একাধিক বাহিনী মোতায়েন থাকছে। গত দু’দিনে বিভিন্ন ডিসি, এসিপি-রা থানার ওসি, আইসিদের সার্বিক নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, মদ্যপদের সামলাতে বিকেল পর থেকে রাস্তায় আলাদা পুলিশ কর্মীরা থাকছেন। সাদা পোশাকের পুরুষ ও মহিলা পুলিশকর্মীরা পানশালা এবং বিভিন্ন বর্ষবরণের অনুষ্ঠান স্থলগুলিতে নজর রাখার দায়িত্বে থাকবেন। পুলিশের থানাভিত্তিক ফ্লাইং স্কোয়াডও প্রধান রাস্তা, বাণিজ্যিক এলাকাগুলিতে নজর রাখবে। অফিসারেরা জানাচ্ছেন, উত্তরায়ণ উপনগরী, সিটি সেন্টার, কাওয়াখালি উপনগর, সেবক রোড এবং দুই মাইল এলাকার বিভিন্ন মল, শালবাড়ির মতো কিছু এলাকায় বাড়তি নজরদারি না থাকলেই নানা বেআইনি কাজের অভিযোগ মেলে। সেই সঙ্গে উপনগরীগুলি বিভিন্ন এলাকা খালি করতে ভোরের আগে পুলিশ কর্মীদের লাঠি হাতে তাড়া পর্যন্ত করতে হয়। এবারও সেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
কমিশনারেটের কর্তারা জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতের জন্য প্রতিটি পানশালা বা সিঙ্গিং বারের নির্দিষ্ট সময়সীমা আবগারি দফতর থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে পানশালা খোলা থাকলেই মামলা করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে হোটেল, রেস্তরাঁ, পানশালাগুলিতে সিসি ক্যামেরা ঠিকঠাক রাখার জন্য মালিকদের বলা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন মাঠ, উপনগরীর খালি এলাকা এবং বিভিন্ন বিনোদন পার্কে রাত ১২টার ভিড় ধীরে ধীরে খালি করে দিতে থানাগুলিকে বলা হয়েছে। আতসবাজি ছাড়া নিষিদ্ধ শব্দবাজি থাকলেই ধরপাকড় করতে বলা হয়েছে। গাড়িতে সাউন্ড সিস্টেম চালিয়ে বা বাইক-স্কুটি নিয়ে আড্ডা বসালে তা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।