Jammu and Kashmir Terror Attack

‘আমায় ছেড়ে দিন, তিন বছরের ছেলে রয়েছে আমার!’ ভরতের কাতর আকুতিও শুনল না জঙ্গিরা

মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে ২৬ জন পর্যটকের। নিহতদের তালিকায় রয়েছে ভরত ভূষণের নামও। অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা ভরত কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকতেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৩৪
Share:
(বাঁ দিকে) নিহত ভরত ভূষণ। ভরতের মরদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী সুজাতা ও শিশুপুত্র (ডান দিকে)

(বাঁ দিকে) নিহত ভরত ভূষণ। ভরতের মরদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী সুজাতা ও শিশুপুত্র (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত।

আমাকে ছেড়ে দিন। তিন বছরের ছেলে রয়েছে আমার। ওর কী হবে? জঙ্গিদের সামনে হাতজোড় করে একনাগাড়ে বলেই চলেছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের ভরত ভূষণ। কিন্তু লাভ হয়নি। একরত্তি ছেলের সামনেই গুলিতে এ ফোঁড়-ও ফোঁড় হয়ে যায় বাবার দেহ।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে ২৬ জন পর্যটকের। নিহতদের তালিকায় রয়েছে ভরত ভূষণের নামও। অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা ভরত কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। তিন বছরের পুত্রকে নিয়ে পহেলগাঁওয়ে বেড়াতে এসেছিলেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই যুবক। কিন্তু আর যে ফেরা হবে না, জানতেন না কেউই। মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রী-পুত্রের সামনেই চোখের পলকে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ভরতের দেহ। ভরতের স্ত্রী সুজাতা জানাচ্ছেন, মৃত্যুর আগে কাতর স্বরে জঙ্গিদের কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন ভরত। বার বার বলেছিলেন, ‘‘আমাকে ছেড়ে দিন। আমার তিন বছরের ছেলে রয়েছে।’’ কিন্তু শোনেনি জঙ্গিরা।

সুজাতা জানিয়েছেন, এপ্রিলের ১৮ তারিখ কাশ্মীরে গিয়েছিলেন তাঁরা। শেষ দিন পহেলগাঁও ঘুরে ফেরার কথা ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে বৈসরনে ঘুরছিলেন ভরতেরা। ঘোড়ায় চড়ে হইহই করে উপত্যকায় ঘুরছিলেন তিন জন। ছবি তুলছিলেন। আচমকা অদূরে গুলির শব্দ শুনতে পান। মুহূর্তে সশস্ত্র এক দল জঙ্গি এলাকায় ঢুকে পড়ে। এক এক করে পর্যটকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু হয়। ওই পরিবারের চোখের সামনে দু’জন পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। এর পরেই তারা এগিয়ে আসে ভরতের দিকে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে সুজাতার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে বেঙ্গালুরু দক্ষিণ লোকসভার বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্যের। তিনি জানিয়েছেন, অনন্তনাগে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সুজাতাদের। অনন্তনাগের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন তেজস্বী। বৃহস্পতিবার ভরতের দেহ বেঙ্গালুরুর বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement