ছাড়া পেলেন অশোক, হামলায় তরজা তুঙ্গে

পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে হামলার অভিযোগ আদতে সত্যি না নাটক, তা নিয়ে চাপানউতোর ক্রমশ বাড়ছেই। রবিবার সকালে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট থেকে সরাসরি ছুটি দেওয়ার পরে তা নিয়ে তরডা তুঙ্গে পৌঁছয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০২:২৯
Share:

পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে হামলার অভিযোগ আদতে সত্যি না নাটক, তা নিয়ে চাপানউতোর ক্রমশ বাড়ছেই। রবিবার সকালে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট থেকে সরাসরি ছুটি দেওয়ার পরে তা নিয়ে তরডা তুঙ্গে পৌঁছয়। অশোকবাবুর যেমন অভিযোগ, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পেয়েই তৃণমূল দুই কাউন্সিলর অসুস্থতার ভান করে ভর্তি হয়েছেন। তেমনই, তৃণমূলের নেতা তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের দাবি, ‘‘মেয়র বোর্ড মিটিঙের পরে ঠান্ডা মাথায় সাংবাদিক বৈঠক করলেন। তার পরে ধীরেসুস্থে হাসপাতালে গেলেন। সন্ধ্যায় ক্রিটিকাল ইউনিটে ঠাঁই নিলেন। সাতসকালে উঠে সরাসরি বাড়ি যাওয়ার ছাড়পত্র চেয়ে নিলেন। মেয়র অশোকবাবু কোন উদ্দেশ্যে কী করেছেন, তা মানুষ সবই বোঝেন।’’

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রের খবর, সাধারণত ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে কেউ ভর্তি থাকলে, কিছুটা সুস্থতার পরে অন্য ওয়ার্ডে রেখে পর্যবেক্ষণ করাই নিয়ম। সরাসরি ছুটি দেওয়া খুব একটা হয় না। তাই অশোকবাবু ছুটি দেওয়ার পরে নানা প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের অনেকেই। মেয়র বলেছেন, ‘‘আমার রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়নি। কিন্তু, আমি থাকায় ওই ইউনিটে প্রচুর লোক ঢোকার চেষ্টা করায় অন্যদের সমস্যা হচ্ছে। তাই আমি বাড়ি গিয়ে অন্তত ৩ দিন বিশ্রাম নেব বলায় ছুটি দিয়েছেন চিকিৎসক।’’ তাঁর দাবি, কারা দলের সর্বোচ্চ স্তরের সুনজরে থাকার জন্য কী করছেন, সেটা দলেরই কয়েক জন হাসপাতালে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বলে দিয়েছেন।

শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ড মিটিঙে গোলমাল হয়। সেই সময়ে রাজ্যে সংস্কৃতি বিপন্ন বলে অশোকবাবু মন্তব্য করেন। তৃণমূলের তরফে তার প্রতিবাদ জানিয়ে কাগজপত্র ছোড়া হয়। গোলমালের সময়ে তৃণমূলের তরফে ছোড়া একটি চামড়ার ব্যাগের বকলস অশোকবাবুর মাথায় লাগে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ হয়েছে। তৃণমূলের কাউন্সিলর তথা বিরোধী দল নেতা রঞ্জন সরকার ওরফে রানার বুকে-মাথায় জলের বোতলের আঘাত লাগে বলে অভিযোগ। সন্ধ্যায় প্রথমে অশোকবাবু ও পরে রঞ্জনবাবু যান। দু’জনকেই ভর্তি করানো হয়। কিছুক্ষণ পরে কাউন্সিলর নান্টু পাল গেলে তাঁকেও ভর্তি করানো হয়। তৃণমূলের তরফেও মেয়র সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশও সিপিএমের জেলা সম্পাদকের নেতৃত্বে বিনা অনুমতিতে প্রতিবাদ মিছিল বার করায় রাস্তায় যানজট করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

Advertisement

এ দিন দুপুর থেকে দুই পক্ষের মিছিল এবং পাল্টা মিছিলে সরগরম হয়ে ওঠে শহর। বেলা ৩টেয় বাঘা যতীন পার্ক থেকে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল হয়। ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে, সুভাষপল্লি নেতাজি মোড় থেকে সিপিএমের মিছিল বার হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement