একশো টাকার নোটের খোঁজ শিলিগুড়িতে। — নিজস্ব চিত্র
কেউ রাতের পোশাক পরে, কেউ বা খাওয়ার থালা ছেড়ে উঠে লাইন দিয়েছেন এটিএমের সামনে। রাত এগারোটা।
বাতাসে হিমের ছোঁয়া থাকলেও, পরিবেশ ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে শিলিগুড়ির পাকুড়তলায়। এটিএম বন্ধ হওয়ার আগে হাতে সময় আর ঘণ্টাখানেক। লম্বা লাইন ঠেলে এটিএম কিয়স্কে পৌঁছে বেশি করে একশো টাকার নোট সংগ্রহ করতে এক ব্যক্তি পরপর তিনবার কার্ড ঢুকিয়েছিলেন। তাতেই আপত্তি জানাতে থাকেন লাইনে দাঁড়ানো বাসিন্দারা। শুরু হয় চেঁচামেচি। পরিস্থিতি হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছনোর উপক্রম হওয়ার আগেই, পুলিশ অফিসাররা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। কিয়স্কের ভিতরে গোলমাল সামাল দিতে নয়, পুলিশের ডাক পড়েছিল সামনে যানজট সামলানোর জন্য। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পাকুড়তলা মোড়ের ই-কর্নারের সামনে রাত দশটা থেকেই লাইন হতে শুরু করে। কেউ এসেছেন ৫০০ বা হাজার টাকার নোট জমা দিতে, কেউ বা এসেছেন ১০০ টাকার নোট সংগ্রহ করতে। কিয়স্ক থেকে লাইন বের হয়ে সামনের রাস্তায় চলে আসে। সর্পিল লাইন রাস্তায় বেঁকে যাওয়ায় শুরু হয় তীব্র যানজট। তবে লাইনে গোলমালের আশঙ্কায় বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় পাকুড়তলায়।
মঙ্গলবার বৈদ্যুতিন চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা সম্প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই শিলিগুড়ির বিভিন্ন এটিএম কিয়স্কের সামনে ভিড় বাড়তে শুরু করে। হিলকার্ট রোড, বিধানরোড, সেবক রোডের কয়েকটি এটিএমে ক্রমাগত ব্যবহার হওয়ার টাকা ফুরিয়ে যায়। বিধান মার্কেট লাগোয়া একটি এটিএমের সামনে লাইনে দাঁড়ানো ব্যবসায়ী রাজেশ অগ্রবাল বলেন, ‘‘পুরোনো টাকায় লেনদেন চলবে না। তাই যতটা সম্ভব একশো টাকার নোট জোগাড় করার চেষ্টা করছি।’’ হিলকার্ট রোডের এটিএমের সামনে ছিলেন গৃহবধূ রত্না ঘোরাও। তিনি বলেন, ‘‘বাজার পুরোনো টাকা না চললে সবই বন্ধ হয়ে যাবে। বাড়িতে তো হাঁড়িই চড়বে না। তাই এলাম।’’