কোচবিহারে পুরপ্রধানের বাড়ির কাছে পরপর গুলি

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এ বার কোচবিহার পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা কুণ্ডুর বাড়ির সামনে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এবং ঘটনাটি ঘটেছে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর শুরু হওয়ার ঠিক আগের রাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৫৯
Share:

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এ বার কোচবিহার পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা কুণ্ডুর বাড়ির সামনে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এবং ঘটনাটি ঘটেছে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর শুরু হওয়ার ঠিক আগের রাতে। শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁকে এবং কোচবিহারের অন্য নেতাদের সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ শহরের গাঁধীনগরে রেবাদেবীর বাড়ির সামনে এসে পরপর গুলি ছুড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। রেবাদেবীর ছেলে শুভজিৎ তখন কাছেই একটি পুজো মণ্ডপে ছিলেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন। পরে শুভজিৎবাবু বলেন, ‘‘বলা যায় না, আমাকেই হয়তো খুন করতে এসেছিল ওই দুষ্কৃতীরা।’’

এই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোচবিহার জেলা কার্যকরী সভাপতি সায়নদীপ গোস্বামী-সহ চার জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। সায়নদীপ আর এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা অভিজিৎ দে ভৌমিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সায়নদীপ এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘ওই এলাকার নানা জায়গায় সন্ধের পরে দুষ্কৃতীরা জমা হচ্ছে বলে খবর পাচ্ছি। এই ঘটনার সিআইডি তদন্ত হোক।’’

Advertisement

অভিজিৎ ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মীর উপরে হামলার অভিযোগে সম্প্রতি শুভজিৎ কুণ্ডুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিন পান। তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর ঘনিষ্ঠ অভিজিৎ। শুভজিৎ আবার রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কাছের লোক বলেই পরিচিত। মিহির বা রবির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে দলীয় সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী সকলকেই সতর্ক করেছেন। যেখানে কোচবিহারে বিজেপি ক্রমে জমি দখলের চেষ্টা করছে, সেখানে নিজেদের কোন্দল যত দ্রুত মিটিয়ে নেওয়া যায়, ততই ভাল— বলছেন স্থানীয় কর্মীরাই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement