আলু-বন্ড নিয়েও যৌন হেনস্থার অভিযোগ। সম্প্রতি বন্ড দেওয়া নিয়ে এক মহিলা থানায় অভিযোগ করেছেন ধূপগুড়ির এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে আলু হিমঘরে রাখার জন্য গ্রামে-গঞ্জে কী হচ্ছে তার একটা দৃষ্টান্ত ওই অভিযোগ। কোচবিহার থেকে ফালাকাটা, রায়গঞ্জ থেকে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি অবধি আলুচাষিদের সঙ্গে কথা বললেই শোনা যাচ্ছে হাহাকার।
ফালাকাটার আলু চাষিদের সমস্যাও কম নয়। সেখানে সাদা আলু ২ টাকা ৭০ পয়সা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে। খুচরো বাজারে কেজি প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা। লাল আলু পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ টাকা। খুচরো বাজারে ৭ থেকে ৮ টাকা কেজি। ধূপগুড়ি, ফালাকাটা ব্লকে আনুমানিক সাড়ে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হবে। উৎপাদনের মোট ৩০ শতাংশ আলু হিমঘরে মজুত করা যাবে। ধূপগুড়ি ব্লক কিসান তৃণমূল ব্লক সভাপতি কমল রায় বলেন, “আগে এসে লাইন দিলে আগে পাবে, এই নিয়মেই বন্ড দেওয়া হচ্ছে।” ধূপগুড়ির সহ কৃষি অধিকর্তা দেবাশিস সর্দার বলেন, “ইতিমধ্যে সরকার নির্ধারিত চার টাকা ষাট পয়সা কেজি দরে আলু কেনা শুরু করেছে।” কোচবিহারের বিজেপি সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “তৃণমূলের লোকেরা বন্ড বিলিতে স্বজনপোষণ করছেন।” কোচবিহারের মুখ্য কৃষি আধিকারিক মিনাজুর আহসান জানান, প্রশাসনিক উদ্যোগে আলু কেনা শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়িতেও কৃষকদের একাংশের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের হাতে বন্ড যেতেই বিভিন্ন জায়গায় এর কালোবাজারি শুরু হয়ে গিয়েছে৷ মালদহ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মিড-ডে-মিলের জন্য ৩০৭ টন আলু চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি কেনা হবে।
(সহ প্রতিবেদন: অরিন্দম সাহা, অভিজিৎ সাহা)