সূচনা: সেবক-রংপো রেলপথের কাজ শুরু হয়েছে। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনের মধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেবক-রংপো রেলপথের কাজ। সম্প্রতি শুরু হয়েছে। কিন্তু ঢিমে তালে চলছে বলে মনে করছেন অনেকেই। লাদাখের চিন সীমান্তের সংঘর্ষের পরে এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছে সিকিমের নাথু লা, নাকু লা-র মতো সীমান্তগুলি। তাই এই রেলপথের কাজ দ্রুত শেষ করার প্রয়োজনীয়তা বুঝে কাজে জোর দিতে চাইছেন রেলকর্তাদের একাংশ। সেই মতো তাঁরা ঠিকাদার সংস্থাগুলিকে দ্রুত কাজ শেষ করতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো বাড়তি লোকবল লাগানোর পরামর্শও দিচ্ছেন। কেন না, গত দশ বছরে এই প্রকল্পটি বারবার থমকে গিয়েছে। এখন আর তাঁরা দেরি করতে চান না।
মূলত সেনাবাহিনীর প্রয়োজনে ২০০৯-১০ অর্থবর্ষে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সেনার বিভিন্ন সরবরাহ যাতে রংপো থেকে গ্যাংটক হয়ে নাথু লা এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে পৌঁছে যেতে পারে, তার জন্য এই প্রকল্প। কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০১৫ সালে। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নেওয়া এই প্রকল্প বারবার পিছিয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় সরকারের এটিকে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’’
২০১৭ সালে নতুন সমীক্ষার পরে প্রকল্পের খরচ বেড়ে দাঁড়ায় পৌনে পাঁচ হাজার কোটি টাকায়। গত রেল বাজেটেও প্রায় সাড়ে ৬০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। জমি জট, পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য এখনও কয়েকটি জায়গায় কাজ শুরু হয়নি। ২০২১ সালে সেই কাজ শেষ করার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এখনও কাজের বেশিরভাগটাই বাকি রয়েছে বলে সূত্রের দাবি। কাজ না হওয়ার জন্য বিজেপি নেতারা রাজ্য সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলেছে। রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক তথা উত্তরবঙ্গের নেতা রথীন বসু বলেন, ‘‘জমি জট যত দ্রুত খুলবে, কাজ যত দ্রুত এগোবে। এটা রাজ্য সরকারের আগে দেখা উচিত।’’
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘যাতে দ্রুত কাজ তোলা যায়, তার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। ঠিকাদার সংস্থাকেও বলা হচ্ছে যতটা সম্ভব কাজ দ্রুত এগোতে।’’ ঠিকাদার সংস্থার প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার টিটি ভুটিয়া বলেন, ‘‘শ্রমিক সমস্যা কিছুটা মিটে গেলেই প্রয়োজনে পরিকাঠামো বাড়িয়ে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’’