বাইক চুরির অভিযোগে ধৃতদের নিয়ে জলপাইগুড়ি পুলিশের কর্তারা। — নিজস্ব চিত্র।
পর পর বাইক চুরির ঘটনা ঘটছিল শহরে। রাস্তাঘাটে বাইক রাখতেই ভয় পাচ্ছিলেন এলাকার মানুষ। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেও কোনও সুরাহা হচ্ছিল না। অবশেষে তাঁরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। জলপাইগুড়ি জেলায় বাইক চুরির চক্র ধরে ফেলল পুলিশ। চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার করে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধূপগুড়ি থানার পুলিশের চেষ্টায় এসেছে এই সাফল্য।
বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া মোটরবাইকগুলি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। ছিলেন পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত, ধূপগুড়ি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গেলসন লেপচা, আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য প্রমুখ। তাঁরাই জানান, কী ভাবে গত বেশ কয়েক দিন ধরে তদন্তের মাধ্যমে বাইক চোরদের ধরা হল। মোট ২৯টি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। আরও বাইক উদ্ধারের কাজ চলছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের খোঁজ চলছে বলেও জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি পুলিশের কর্তারা।
শুধু ধূপগুড়ি নয়, জলপাইগুড়ি শহর, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে সম্প্রতি পর পর বাইক চুরির ঘটনা ঘটে। যে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন চন্দন বর্মণ, অজয় বর্মণ, সোনাই সরকার, রাজু সরকার, শুভাশিস দাস, কানাই অধিকারী এবং বলাই অধিকারী। প্রত্যেকেই কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
বাইক চুরির অভিযোগ বেড়ে যাওয়ায় একটি কমিটি গঠন করে তদন্তে নামে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘২৯টি চোরাই বাইক উদ্ধার করা হয়েছে। সাত জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার বিভিন্ন জায়গা থেকে বাইকগুলি তাঁরা চুরি করেছিলেন বলে অভিযোগ। বাইকগুলির মালিকদের চিহ্নিত করে তাঁদের হাতে তা তুলে দেওয়া হবে। চুরি যাওয়া আরও বাইক উদ্ধার হতে পারে। অভিযুক্তদের খোঁজে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি।’’