দুই শিক্ষকের দ্বন্দ্ব, তালা স্কুলে

হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২০০১ সালে কাজে যোগ দেন শুভেন্দু চক্রবর্তী। স্কুলের হিসেবে গরমিল থাকায় তাঁকে গত ২০১২ সালে সাময়িক বরখাস্ত করে স্কুলের পরিচালন সমিতি। তবে সেই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:৩৭
Share:

দুর্ভোগ: শিক্ষকদের কাজিয়ায় বন্ধ স্কুল। নিজস্ব চিত্র

দুই শিক্ষকের ঝগড়ার জেরে স্কুলে তালা ঝোলানোর অভিযোগ উঠল টিচার ইনচার্জের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বালুরঘাট ব্লকের জলঘর অঞ্চলের চককাশী শ্যামসুন্দর হাইস্কুলের ঘটনা। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুলও ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফলে এ দিন স্কুলের সামনে খোলা আকাশের নিচে কাটাতে হল অন্য শিক্ষক ও পড়ুয়াদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ডিআই। তাঁর হস্তক্ষেপে স্কুলের দরজা খোলে। এরপর শুরু হয় ক্লাস।

Advertisement

ওই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২০০১ সালে কাজে যোগ দেন শুভেন্দু চক্রবর্তী। স্কুলের হিসেবে গরমিল থাকায় তাঁকে গত ২০১২ সালে সাময়িক বরখাস্ত করে স্কুলের পরিচালন সমিতি। তবে সেই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাসকয়েকের মধ্যে তিনি ফের কাজে যোগ দেন। এরপর থেকে তার সঙ্গে পরিচালন কমিটির সকলে অসহযোগিতা করছিলেন বলে শুভেন্দুর অভিযোগ। তার সাসপেনশন চলাকালীন তাঁকে বকেয়া এরিয়ার ও ইনক্রিমেন্টের টাকা পরিচালন সমিতি দিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ করেন। এরপর পাওনা আদায়ে শুভেন্দুবাবু ২০১৬ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন। এখন মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

এরপর ফের তাঁকে পরিচালন কমিটির রোষে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। ওই বছরেই নানা কারণ দেখিয়ে পুনরায় প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এবার দায়িত্ব ফিরে পেতে প্রধান শিক্ষক দ্বারস্থ হন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আপিল কমিটির কাছে। পর্ষদের নির্দেশ অনুসারে স্কুলে কাজে যোগ দিতে যান তিনি। তবে কোনওভাবেই প্রধান শিক্ষক শুভেন্দুকে কাজ যোগ দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এ নিয়েই স্কুলের টিচার ইনচার্জ এবং প্রধান শিক্ষকের মধ্যে কাজিয়া বাধে। অবশেষে গত ২২ জানুয়ারি শুভেন্দু প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার নেন।

Advertisement

এ দিন স্কুল খুলতেই মূল গেটে তালা দিয়ে টিচার ইনচার্জ সঞ্জয়কুমার দাস পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। স্থানীয় লোকজন স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এ দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু জানান, তিনি স্কুলে এসে গেটে তালা দেখতে পান। যাঁর কাছে চাবি থাকে তাঁর কাছ থেকে গতকালই চাবি নিয়ে নেন টিআইসি।’’ জেলা স্কুল পরিদর্শক মৃণালকান্তি রায়সিংহ বলেন, ‘‘স্কুলের গেটে তালা লাগানো খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে তালা ভাঙা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement