প্রতীকী ছবি
আগামী এক সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের কোন জেলা থেকে কত সংখ্যায় করোনার পরীক্ষা করা হবে, তা বেঁধে দিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তারা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কলেজের নতুন নির্দেশে আগামী এক সপ্তাহ ধরে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার প্রতিটি থেকে দিনে ৫০টি করে লালারস নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল, সোমবার থেকে নয়া এই নির্দেশ কার্যকর হবে বলে করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের বিশেষ দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক (ওএসডি) সুশান্ত রায় জানিয়েছেন।
কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার সংখ্যা যখন বাড়ছে, তখন মেডিক্যাল কলেজের এমন নির্দেশে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অনেকের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পরের সপ্তাহে, অর্থাৎ পরের সোমবার থেকে কোচবিহারের ৩০০টি, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির ২৭০টি করে এবং দার্জিলিঙের ১৫০টি ও কালিম্পঙের ৫০টি নমুনা প্রতিদিন পরীক্ষা করা হবে।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আচমকা পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার সংখ্যা বাড়তে শুরু করায় শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে লালারসের নমুনা পাঠানোর সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে দার্জিলিং ও কালিম্পং ছাড়াও জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার থেকে প্রতিদিন প্রচুর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কোনও কোনও জেলা থেকে নমুনা পাঠানোর সংখ্যা বেড়েও গিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার মিলিয়ে এই মুহূর্তে প্রায় চার হাজার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট উত্তরবঙ্গে জমে রয়েছে জমে রয়েছে। তাই মেডিক্যাল কলেজের নয়া এই নির্দেশ জারি বলে সূত্রের খবর।
ওএসডি সুশান্ত রায় বলেন, “অনেক ক’টি জেলা থেকে গত কয়েকদিনে প্রচুর নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছে। যার জেরে পরীক্ষা জমে যাচ্ছে। সেজন্যই ‘ব্যাকলগ ক্লিয়ার’ করতে আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহ প্রতিদিন পাঁচটি জেলা থেকে ৫০টি করে নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ পর সেই সংখ্যা বেড়ে যাবে। জুনের শুরুতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে করোনা পরীক্ষায় নতুন যন্ত্র বসারও কথা রয়েছে। সেটা হলে পরীক্ষার সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।”
কিন্তু আগামী এক সপ্তাহ নতুন করে সংগ্রহ করা লালারস পরীক্ষা কমিয়ে দেওয়ার মেডিক্যাল কলেজের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে স্বাস্থ্য আধিকারিক ও চিকিৎসকদের মাথায় হাত পড়েছে। যদিও সুশান্ত বলেন, “উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এই মুহূর্তে দিনে এক হাজার থেকে বারোশো নমুনা পরীক্ষার ক্ষমতা রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন সেখানে দুইহাজারের মতো নমুনা যাচ্ছে। বাধ্য হয়েই তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”