মেরামত হয়নি জলাধার, ঘোলা-নোংরা জলে ক্ষোভ

টানা দু’সপ্তাহ ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে জলাধারের জল শোধনের যন্ত্র। মেরামতি না হওয়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাট শহরের একাংশে নোংরা ও ঘোলা জল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর জেরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪৯
Share:

টানা দু’সপ্তাহ ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে জলাধারের জল শোধনের যন্ত্র। মেরামতি না হওয়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাট শহরের একাংশে নোংরা ও ঘোলা জল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর জেরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন বাসিন্দারা। গত ১৫ দিন ধরে ওই ঘোলা জল ব্যবহার করতে বাধ্য হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়।

Advertisement

নাগরিকদের অভিযোগ, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে পুর কর্তৃপক্ষ এবং পিএইচই উদাসীন বলে নাগরিকেরা অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান রাজেন শীল বলেন, ‘‘বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের নতুন প্রকল্পে পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে। ফলে ট্যাপের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহের পুরনো ব্যবস্থা পরিচালনার ভার দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরকে। শীঘ্রই মেরামতির উদ্যোগ নিতে বলা হবে তাদের।’’

বালুরঘাট শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের অধিকাংশয় দীর্ঘকাল ধরে রাস্তার পাশের ট্যাপ কলের মাধ্যমে তিন বেলা পানীয় জল সরবরাহ করে পিএইচই। কিন্তু দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘোলা জল সরবরাহ অব্যাহত থাকায় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেশি সমস্যায় পড়েছেন শহরের ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। প্রয়াত চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। চেয়ারপার্সনের মৃত্যুর পর প্রায় ১০ মাস কেটে গেলেও এখনও ওই ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হয়নি। ফলে ওই ওয়ার্ডের পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে কার কাছে যাবেন তা নিয়ে বিভ্রান্ত বাসিন্দারা। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে নোংরা জল সরবরাহ নিয়ে ওয়ার্ডবাসীর ক্ষোভের আঁচ পেয়ে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলার দেবজিত রুদ্র পিএইচই দফতরে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরকর্তৃপক্ষ থেকে কাউন্সিলার এতদিন ধরে সবাই চোখ বুঝে রয়েছেন। দিনের পর দিন ট্যাপ থেকে পানের অযোগ্য লালমাটি মিশ্রিত ঘোলা ও নোংরা জল সরবরাহ হলেও মেরমতি নিয়ে তৎপরতা নেই।

Advertisement

গত বছর শহরের বাসিন্দাদের পানীয় জল সরবরাহের দায়িত্ব পিএইচইর হাত থেকে পুরসভার উপর ন্যস্ত হয়েছে। তবে প্রযুক্তি ও কর্মী পুরসভায় না থাকায় আপাতত পিএইচইকেই অস্থায়ীভাবে জল সরবরাহের দায়িত্ব দিয়েছে পুরসভা।

এ দিন পিএইচই-র সাব অ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র সমীর দাস বলেন, ‘‘ পানীয় জল সরবরাহের দায়িত্ব পুরসভারই আছে। কারিগরি পরিকাঠামো পুরসভার না থাকায় আমরা তত্ত্বাবধান করছি। খারাপ হয়ে থাকা কমপ্রেসার ঠিক করতে টেন্ডার হয়েছে।’’ পুজোর আগেই পরিষ্কার জল মিলবে বলে তিনি দাবি করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement