হাজিরা: জলপাইগুড়ি আদালত চত্বরে সস্মিতা। ছবি: সন্দীপ পাল
সিডব্লুউসি-র বদলে কেন অ্যাডহক কমিটি সেই প্রশ্ন তুলেছিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা আয়োগ ও রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন। শিশু পাচার নিয়ে হইচই-এর মাঝে এ বার আদালতের সামনে সেই প্রশ্ন রাখলেন এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সস্মিতা ঘোষও।
সাত দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে মঙ্গলবার সস্মিতাকে ফের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করা হয়৷ দুপুরে কোর্ট লক আপ থেকে এজলাসে নিয়ে যাওয়ার পথে সস্মিতা বলেন, ‘‘কোন পরিস্থিতিতে অ্যাডহক কমিটি গঠন হল এবং কারা চাইছিল জলপাইগুড়িতে সিডব্লুউসি না থাকুক সেটাও তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন৷’’
আরও পড়ুন: চন্দনাই ফাঁসাল, দাবি জুহির মায়ের
মামলার শুনানিতে তার আইনজীবী অলোকেশ চক্রবর্তী জানান, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেলা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তারা মিলিতভাবে রেজলিউশন করে অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছিলেন৷ তিনি আরও বলেন, চন্দনা ষোলোটি শিশুকে অস্থায়ী আশ্রয়ে দিয়েছেন বলে একটি চিঠি দিয়েছিলেন৷ সেটাও জেলা প্রশাসনের কর্তারা অনুমোদন করেছিলেন বলে দাবি করেন৷ পাশাপাশি সস্মিতার জামিনের আবেদন করেন৷ তবে সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, সস্মিতার বিরুদ্ধে যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে৷
দু’পক্ষের শুনানির পর মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দেবপ্রিয় বসু সস্মিতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাকে তিন দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন৷ এ দিকে নমুনা সাক্ষরের জন্য এ দিন আদালতে চন্দনা চক্রবর্তী ও দেবাশিস চন্দকেও নিয়ে যায় সিআইডি৷ সরকারি আইনজীবী প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘আদালত সিআইডির এই আবেদন মঞ্জুর করেছে৷ পরবর্তীতে তাদের সাক্ষর নেওয়া হবে৷’’ অন্যদিকে এ দিন আদালতে চন্দনার সংস্থার চার কর্মী সঞ্জীব সরকার, দীপ্তি ঘোষ, রুনা চক্রবর্তী ও অন্নপূর্ণা রায়ের গোপন জবানবন্দী নেওয়া হয়৷