কালমেঘ।
বাড়ির আনাচকানাচে, পথের ধারে আপন মনেই বেড়ে ওঠে আগাছার দল। যার মধ্যে বেশ কিছু গাছের ভেষজ বা ওষধি গুণ যথেষ্ট। নানা রোগব্যাধিতে এগুলির পাতা, মূল, ফল অনেক দিন থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। এই গাছগুলির বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয় না। এ ধরনের গাছ বারান্দা বা ছাদের অল্প পরিসরের মধ্যেই করা যায়। বাড়িতে বাগান করার মতো জায়গা থাকলে বিশল্যকরণী, কালমেঘ, বাসক, পিপুল, তেলাকুচো, তেজপাতার মতো ওষধি গুণে ভরপুর কয়েকটি গাছ করলে মন্দ হবে না।
এই ধরনের গাছ টবেও করা যায়, আবার জমিতেও। রোপণের আগে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। এর জন্য বাগানের মাটির সঙ্গে মেশাতে হবে এক বছরের পুরনো গোবর সার বা পাতা পচা সার। গাছে মাসে এক বার দিতে হবে জৈব সার। ভার্মিকম্পোস্ট, গোবর সার, পাতা পচা সার, ফল, আনাজপাতির শুকনো খোসা ইত্যাদি মিশিয়ে জৈব সার তৈরি করে নেওয়া যায়। জৈব কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে নিম বা কালমেঘ পাতার নির্যাস।