সাফাইকর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনায় পাহাড়পুর সংলগ্ন জোড়া কদমের গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে পাটাতন খুলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল ২ সাফাইকর্মীর। অসুস্থ অবস্থায় আরও দুই কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জলপাইগুড়ি জেলার পাহাড়পুর সংলগ্ন জোড়া কদমের গ্রামের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ করা হয়নি। তবে স্থানীয়দের অনুমান, সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। সাফাইকর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় পাহাড়পুর সংলগ্ন জোড়া কদমের গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার নাথুয়া পাড়ার বাসিন্দা অনন্ত রায় (২০) এবং কালিয়াগঞ্জের আলিম মহম্মদ (৩০) সেপটিক ট্যাঙ্কের কাজ করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন। অসুস্থ বছর চল্লিশের রহিম মহম্মদ এবং ৩৪ বছরের বিপুল রায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাসিন্দা লক্ষ্মীনারায়ণ রায়ের বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্কের পাটাতন (সাটারিং) খোলার কাজ চলছিল। সেই পাটাতন খুলতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে প্রথমে এক জন নামলে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে এর পর তাঁকে উদ্ধার করতে পর পর আরও তিন জন কর্মী তাতে নামেন। তবে তাঁরাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের উদ্ধার করতে এ বার মুখে গামছা-কাপড় বেঁধে উদ্ধারকাজে নামেন এলাকাবাসীরা। অসুস্থদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সেপটিক ট্যাঙ্কে সাফাইয়ের কাজে নেমে এর আগেও দুর্ঘটনা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। এর আগে ডুয়ার্সেও প্রায় একই ভাবে মারা গিয়েছেন সাফাইকর্মীরা।