লাইন: থানা চত্বরে ন্যাপকিন নিচ্ছেন মহিলারা। নিজস্ব চিত্র
মহিলা পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াদের পাশাপাশি পথচলতি মহিলাদের বিশেষ প্রয়োজনে শুক্রবার বালুরঘাট থানা চত্বরে চালু হল ভেন্ডিং মেশিন। ইলেকট্রনিক্স ওই ভেন্ডিং মেশিনে এ দিন থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশের উদ্যোগে থানায় ন্যাপকিন সরবারাহের ব্যবস্থা এই প্রথম।
সূত্রের খবর, অত্যাধুনিক মানের দু’টি মেশিন বসাতে খরচ হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। ১০ টাকার কয়েন ফেলে তিনটি স্যানিটারি ন্যাপকিনের একটি প্যাকেট পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে ব্যবহৃত ন্যাপকিনকে পুড়িয়ে ফেলার ব্যবস্থাও রয়েছে একটি মেশিনে। রাজ্য সরকারের বরাদ্দ টাকা থেকে এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড স্পোর্টস সোসাইটির উদ্যোগে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ইলেকট্রনিক মেশিন বসানো হয়েছে বলে খবর। বালুরঘাট থানার দোতলাতেই রয়েছে মহিলা থানা। দুই থানাতেই মহিলা পুলিশ ও বহু সিভিক ভলান্টিয়ার কাজ করেন। থানায় নানা কাজে এসেও অনেক পুলিশ বা কর্মীকে সমস্যায় পড়তে হয়। কাছাকাছি ভাল কোনও দোকান না থাকায় প্রয়োজন মেটাতে মহিলাদের ছুটতে হয় দূরের বাজারে। ওই সমস্যার বিষয়টি নজরে এলে ওই সোসাইটি ভেন্ডিং মেশিনটি বসানোর উদ্যোগ নেয়।
একটি দশ টাকার বা পাঁচ টাকার দু’টি কয়েন মেশিনে ফেলে এক প্যাকেট স্যানিটারি ন্যাপকিন কী ভাবে সংগ্রহ করতে হবে এবং মেশিনটি ব্যবহারই বা করা হবে কী ভাবে, তা মহিলা পুলিশকর্মীদের হাতেকলমে দেখানো হয়।
বালুরঘাট থানার আইসি জয়ন্ত দত্ত বলেন, ‘‘জেলায় এই প্রথম বালুঘাট থানাতেই ওই মেশিনের মাধ্যমে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহের ব্যবস্থা চালু হল। থানার মহিলা পুলিশ কর্মীরা এখান থেকে কম টাকায় ন্যাপকিন নিতে পারবেন। এবং সামনেই বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুল থাকায় সুবিধা হবে স্কুল ছাত্রীদেরও।’’