Swab

আবার নমুনা পাঠানো বন্ধ, ক্ষুব্ধ কর্তারা

এর প্রভাব সরাসরি পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে লালারসের নমুনা সংগ্রহের উপর এসে পড়ল।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২০ ০৪:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি

টানা ছ’দিন বন্ধ থাকার পর চলতি সপ্তাহের সোমবার আলিপুরদুয়ার থেকে লালারসের নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার জন্য পাঠানো শুরু হয়েছিল। কিন্তু দু’দিন যেতে না যেতেই বুধবার আবার তা বন্ধ হয়ে গেল।

Advertisement

ফলে আবার এর প্রভাব সরাসরি পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে লালারসের নমুনা সংগ্রহের উপর এসে পড়ল। ভিন রাজ্য থেকে জেলায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ এ দিন ফের একবার বন্ধ করতে বাধ্য হলেন চিকিৎসকেরা। এর জেরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ভূমিকায় ক্ষোভ বাড়ছে আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে।

চতুর্থ দফার লকডাউন শুরুর পরই আলিপুরদুয়ার জেলায় ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফলে তাঁদের করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা সংগ্রহও অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। অন্য জেলাতেও লালারসের নমুনা সংগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব গিয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে নমুনার পাহাড় জমে যায়। ফলে বিভিন্ন জেলা থেকে নমুনা কম সংখ্যায় পাঠাতে বলা হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এভাবে চলতে চলতে গত ২ জুন আলিপুরদুয়ার থেকে মেডিক্যাল কলেজে নমুনা পাঠানো কার্যত একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। টানা ছ’দিন এই পরিস্থিতি চলে।

Advertisement

এরই মধ্যে আলিপুরদুয়ারে আসেন করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশান্ত রায়। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানান, চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে প্রতিদিন আলিপুরদুয়ারের দেড়শো নমুনা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো যাবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সেই অনুযায়ী সোমবার থেকে তা শুরুও হয়। বুধবার আবার তা বন্ধ হয়ে যায়।

জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার দিনভর যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা বুধবার পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু মেডিক্যাল কলেজ বারণ করায় এ দিন আর তা পাঠানো হয়নি। ট্রুন্যাট মেশিনে পরীক্ষার জন্য এ দিন শুধুমাত্র হাতেগোনা কয়েকজন সন্দেহভাজনদের থেকেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে নমুনা সংগ্রহ হয়নি।’’

জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের অভিযোগ, বারবার নমুনা পাঠানো বা পরীক্ষা রিপোর্ট পাওয়ার কাজ এ ভাবে ব্যাহত হলে এর প্রভাব করোনা মোকাবিলার উপর গিয়ে পড়বে। মেডিক্যাল কলেজের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘কেন এমনটা হল তা খতিয়ে দেখা হবে।’’ করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশান্ত রায় অবশ্য বলেন, ‘‘হয়তো জমে থাকা নমুনা পরীক্ষার কাজ শেষ করার জন্যই এটা হয়েছে। আশা, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement