ছবি: সংগৃহীত
আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের (বিএমএস) দার্জিলিং জেলার সংগঠনে বড় ভাঙনের ইঙ্গিত দেখা দিয়েছে। সংগঠন সূত্রের খবর, জেলা কমিটির ২১ জন সদস্যদের মধ্যে ১৪ জনই জেলা সভাপতির নেতৃত্বে সংগঠন ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে কাল, রবিবার দুপুরে নকশালবাড়িতে একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দলত্যাগীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন।
ইতিমধ্যে ওই ১৪ জন পদাধিকারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে বিএমএস নেতাদের দাবি। সংগঠনের এক শীর্ষ নেতা সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছেন, দলের সভাপতি, সহ সভাপতি সহ জেলা কমিটির ১৪ জন হাওয়া হয়ে গিয়েছেন। গত কিছুদিন ধরে তাঁরা বৈঠকেও গরহাজির থাকছেন। বিষয়টি টের পেয়ে গত ১৮ অগস্ট সকলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি বিএমএস নেতাদের।
তবে সঙ্ঘের মত অনুশাসন মেনে চলা একটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের এ ভাবে সংগঠন ছাড়ার ঘটনা বিরল বলেই শ্রমিক নেতারা মনে করছেন। তৃণমূলের রাজ্যের কোর কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, পুরোটাই পিকের টিমের জন্য হয়েছে। সময়ে সব ঘোষণা হবে। তৃণমূল সূত্রের খবর, বর্তমানে সকলেই পিকের টিমের নির্দেশে কাজ করে চলেছেন। বিএমএসের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে তাঁরা আলাদা আছেন। সব ঠিক থাকলে এই প্রথম শিলিগুড়িতে গেরুয়া শিবিরকে বড় ধাক্কার দেওয়ার মুখে তৃণমূল।
বিএমএসের জেলা সভাপতির পদে থাকা নকশালবাড়ির নির্জল দে এক সময় তৃণমূল করতেন। জেলা শ্রমিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতিও ছিলেন। ২০১৯ সালে নির্বাচনের সময় থেকে তিনি দল থেকে সরে যান। নকশালবাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় চা শ্রমিকদের দিয়ে জমায়েতের পরেও শ্রমিক নেতাদের মঞ্চে উঠতে না দেওয়া দিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ ছড়ায়। নির্জল সেই দলে ছিলেন। এরপরে তিনি বিএমএসে যুক্ত হয়ে তরাই-র চা বাগানে কাজ শুরু করেন।
বিএমএস সূত্রের খবর, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জেলা সম্পাদক বিশ্বজিত গুহের সঙ্গে সভাপতি নির্জল দে’র মনোমালিন্য শুরু হয়। দুই তরফে আলাদা বৈঠক শুরু হয়। খবর পেয়েই ময়দানে নামে পিকের টিম। ১৪ জনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর দলবদল চূড়ান্ত হয়েছে। নির্জল দলবদল নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, অপেক্ষা করুন।
বিএমএসের একাংশের দাবি, ওই ১৪ জন বেশ কিছুদিন ধরেই সংগঠন বিরোধী কাজ করছিলেন। প্রদেশ কমিটিকে সব জানানো হয়েছিল। সেখান থেকে দুই সদস্যদের কমিটি তদন্ত করেন। কিন্তু এই ১৪ জন কমিটির সঙ্গে দেখা করেননি। বিএমএসের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক বিশ্বজিতের দাবি, ওরা তৃণমূল গেলেও সংগঠনের কোনও ক্ষতি হবে না।