প্রতীকী ছবি।
মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে তপনে আরএসপির প্রথম সারির অন্তত ২০ জন নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। সঙ্গে বিজেপির একাধিক পঞ্চায়েত প্রতিনিধিও তৃণমূলে যোগ দেবেন। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গঙ্গারামপুরে বিপ্লবের বাড়ির সামনে ওই যোগদান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ দিনাজপুরের আদিবাসী প্রধান তপন ব্লকে আরএসপির পুরনো গড় ধসে পড়বে বলে তৃণমূল নেতা, কর্মীরা মনে করছেন। সেই সঙ্গে বিজেপির অগ্রগতির পথে এই যোগদান বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে এতে যে দলের ক্ষতি হবে, তা মানতে চায়নি বাম ও বিজেপি।
তৃণমূল সূ্ত্রে খবর, টানা তিন বার তপন পঞ্চায়েত সমিতির আরএসপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাক্তন জেলা কমিটির নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দলে যোগ দেবেন তাঁর সঙ্গে আরএসপি এবং বিজেপির একাধিক নেতার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্র্ক্রিয়া পাকা হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার, আনিসুর বলেন, ‘‘বাম দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে আমরা সকলে বিপ্লব ও প্রশান্ত মিত্রের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি।’’ আরএসপির প্রাক্তন লোকাল কমিটির একাধিক সম্পাদক, প্রাক্তন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, যুব ও কৃষক সংগঠনের একাধিক প্রাক্তন সম্পাদক দলবদল করবেন বলে তিনি জানান। গুরইল অঞ্চলের একাধিক বিজেপি নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য হাজার দশেক কর্মী-সমর্থক নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে আনিসুর দাবি করেন।
তপন ব্লকে আরএসপির সংগঠনকে ধরে রাখতে এখনও সক্রিয় আরএসপির রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী। তিনিও এই খবর অস্বীকার করেননি। মনে করা হচ্ছে, এই দলবদলের কারণে তপনে আরএসপি অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে পারে। এ দিন বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘আনিসুরেরা তো আগেই বিজেপির দিকে ঝোঁকেন। এখন তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিলে মানুষ যা বোঝার বুঝবেন।’’ তবে এর পরেও তপনে আরএসপির গড় বজায় থাকবে বলে বিশ্বনাথের দাবি। বিজেপি জেলা সভাপতি বিনয় বর্মণ বলেন, ‘‘আমি এখনও কিছু জানি না। খোঁজ নেব।’’
মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন যাঁরা বামফ্রন্ট ও বিজেপি করেছেন, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বিকল্প নেই। আনিসুরদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওঁরা শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দেবেন।’’