ট্রেন থামিয়ে ডাকাতি

রেল সূত্রের খবর, এনজেপি জিআরপিতে কেবলমাত্র ওই টিকিট পরীক্ষকই অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগিড়ি শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯ ০৪:৩৮
Share:

গয়া-কামাখ্যা সাপ্তাহিক ট্রেন।

মাঝরাতে চেন টেনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে লুটপাট চালান হল দু’টি বাতানুকূল কামরায়। মঙ্গলবার রাত দু’টো নাগাদ গয়া-কামাখ্যা সাপ্তাহিক ট্রেনের ঘটনা। গয়া থেকে কামাখ্যা যাওয়ার পথে আলুয়াবাড়ি এবং মাগুরযান স্টেশনের মাঝে ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ। ডাকাতদের বাধা দেওয়ায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের টিকিট পরীক্ষক অজয় সোনারকে মারধর করে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে যাত্রীদের কয়েকজন জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ট্রেনে তোলেন। ভোরে এনজেপি পৌঁছলে রেল হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই ঘটনার সময় ট্রেনে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না বলে সূত্রের খবর। এনজেপি জিআরপিতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এডিআরএম পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘ঘটনার কথা জেনেছি। খুবই দুঃখজনক। রেলের তরফে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।’’

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, অজয়ের বুকে, মুখে, হাতে এবং পায়ে চোট রয়েছে। বুধবার তাঁর ইসিজি এবং রক্তপরীক্ষা হয়েছে। শিলিগুড়ি জংশন রেল আবাসনে থাকেন অজয়। গয়া-কামাখ্যা সাপ্তাহিক ট্রেনে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। এনজেপি ফিরছিলেন। এ দিন অজয় বলেন, ‘‘ট্রেনটি ভালই আসছিল। হঠাৎই দাঁড়িয়ে

যায়। কেন দাঁড়াল তা দেখতে গিয়ে দেখি এ১ ও বি২ কামরার সামনে ঝামেলা হচ্ছে। কীসের ঝামেলা দেখতে যেতেই দুই যুবক আমাকে মারধর করে। পরে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। তারপর দরজা বন্ধ করে লুটপাট চালায়।’’ বুধবার ভোরে ট্রেনটি এনজেপি ঢুকলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অজয়কে।

Advertisement

রেল সূত্রের খবর, এনজেপি জিআরপিতে কেবলমাত্র ওই টিকিট পরীক্ষকই অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল ঠাকুরগঞ্জ জিআরপির এলাকা বলে অভিযোগটি সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপুলিশ কর্তারা। রেলপুলিশের এক অফিসার জানান, মালদহ থেকে এনজেপির মধ্যে জিআরপির স্টাফ কম রয়েছে। তাই সাপ্তাহিক ট্রেনগুলোয় নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে চালানো সম্ভব হয় না। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement