বিধিভঙ্গে অভিযুক্ত বিদায়ী চেয়ারম্যান

ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠায় কোচবিহার পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান-সহ দুই তৃণমূল প্রার্থী ও দলের এক যুব নেতাকে নোটিস পাঠালেন রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমা শাসক বিকাশ সাহা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৫ ০২:০৬
Share:

ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠায় কোচবিহার পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান-সহ দুই তৃণমূল প্রার্থী ও দলের এক যুব নেতাকে নোটিস পাঠালেন রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমা শাসক বিকাশ সাহা।

Advertisement

রবিবার ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। কোচবিহার পুরসভার বিদায়ী তৃণমূল চেয়ারম্যান দীপক ভট্টাচার্য এবার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়ছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি রানা বসুর স্ত্রী অন্তরা বসু। পৃথক ভাবে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের কাছে বিধি ভেঙে উন্নয়নকাজ ও কাজের তদারকির অছিলায় ভোটারদের প্রভাবিত করার লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন ওই অভিযোগ জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতেই রবিবার বিদায়ী চেয়ারম্যান, অন্তরাদেবী ও তাঁর স্বামী রানাবাবুকে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। বিদায়ী চেয়ারম্যানকে আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে ও বসু দম্পতিকে ৩১ মার্চের মধ্যে ওই ব্যাখ্যা জানানোর সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বিকাশবাবু বলেন, “ভোটারদের প্রভাবিত করা সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে নোটিস ওই তিন জনকে পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযোগের নিয়ে তাঁদের ব্যাখ্যা জানানোর কথাও তাতে বলা হয়েছে।”

ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে?

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদায়ী চেয়ারম্যান নতুন নর্দমা তৈরি, পথবাতি লাগানোর মতো নানা কাজের অছিলায় ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বলে এলাকার বাসিন্দাদের তরফে অভিযোগ জমা পড়ে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বসু দম্পতির বিরুদ্ধে এলাকার এক বাসিন্দা নর্দমার সাফাই কাজের তদারকির নামে ভোটারদের প্রভাব দেখান বলে অভিযোগ।

দীপকবাবু বলেন, “বিকেল পর্যন্ত কোনও নোটিস পাইনি। ওই ওয়ার্ডে নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ার আগে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। নোটিস পেলে জানিয়ে দেব।” রানাবাবু বলেন, “এলাকার বিজেপি প্রার্থীর আত্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই অভিযোগ করেছেন বলে শুনেছি।” বিজেপির জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, “১৫ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয় ভাবে কোনও অভিযোগ হয়েছে কি না জানি না, খোঁজ নিচ্ছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement