উদ্ধার হওয়া শিশু হাতি। নিজস্ব চিত্র
একমাস আগে ব্যাঙডুবি এলাকা থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক মাদি হাতির দেহ উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। তার মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে এখনও তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই দিন সাতেক আগে ওই এলাকা থেকে ১০ কিমি-এর মধ্যে বেশ অনেকখানি এলাকা জুড়ে একটি বাচ্চা হাতি ঘোরাঘুরি করছে বলে নজরে আসে বনকর্মীদের। তখন থেকেই সেই বাচ্চা হাতিটিকে নজর রাখছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিকেলে টুকুরিয়াঝাড় রেঞ্জের অধীনে উত্তমচাঁদ এলাকা থেকে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে বন দফতর। সেদিন রাতেই তাকে নিয়ে আসা হয় বেঙ্গল সাফারি পার্কে।
বনকর্মীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে নাওয়া-খাওয়া ভুলে উদভ্রান্তে মতো ওই এলাকার জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল বাচ্চা হাতিটি। তাঁদের একাংশের সন্দেহ, ব্যাঙডুবি থেকে যে পূর্ণবয়স্ক হাতির দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেটির বাচ্চা হতে পারে এই শিশু হাতিটি। যদিও এই দাবিকে এখনও নিশ্চিত করেনি বন দফতর।
বেঙ্গল সাফারি পার্কের অধিকর্তা ধর্মদেও রাই বলেন, ‘‘বাচ্চাটির শারীরিক পরীক্ষা চলছে। চিকিৎসকরা দেখছেন। তাকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উদ্ধারের সময় টানাহেঁচড়ায় একটু দুর্বল হয়েছিল বাচ্চাটি। শুশ্রূষা চলছে।’’ অধিকর্তা জানান, বাচ্চাটিকে স্বাভাবিক রাখতে বেঙ্গল সাফারি পার্কের আরও দুই কুনকি হাতি লক্ষ্মী এবং উর্মিলার সঙ্গে ছেড়ে রাখা হচ্ছে যাতে সে দ্রুত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
গত মাসে ব্যাঙডুবিতে মৃত হাতির দেহের নমুনা পাঠানো হয়েছে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে। বনকর্তাদের দাবি, স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ওই হাতিটির। তারপর থেকে কি দলছুট হয়ে পড়ে বাচ্চাটি? কার্শিয়াং ডিভিশনের বন আধিকারিক শেখ ফরিদ বলেন, ‘‘এটা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে উদ্ধার হওয়া বাচ্চাটি কিছুদিন আগে মারা যাওয়া ওই হাতির সন্তান কিনা তা জানতে আরও সমীক্ষা করছি আমরা।’’ বনকর্তাদের একাংশ জানান, বাচ্চা হাতির মা মারা না গেলে সাধারণত তারা দলছুট হয় না। যেহেতু পাশাপাশি এলাকা থেকে হাতির দেহ এবং বাচ্চা হাতিটি উদ্ধার হয়েছে তাই সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছেন বনকর্তারা।