এ পারে ভাগ্নে, রান্না ও পারের মামির

রাজবংশী সমাজের প্রচলিত নিয়ম ভাদ্র মাসে মামিমার হাতে রান্না করা খাবার খেলে ভাগ্নের মঙ্গল হয়, আয়ু বাড়ে। আর সে কারণে এই নিয়ম মেনে ভাদ্র মাসে অনেক ভাগ্নেই মামিমার হাতে ভাত খেয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চ্যাংরাবান্ধা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৫৪
Share:

সমবেত: চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে ভিড়। নিজস্ব চিত্র

রাজবংশী সমাজের প্রচলিত নিয়ম ভাদ্র মাসে মামিমার হাতে রান্না করা খাবার খেলে ভাগ্নের মঙ্গল হয়, আয়ু বাড়ে। আর সে কারণে এই নিয়ম মেনে ভাদ্র মাসে অনেক ভাগ্নেই মামিমার হাতে ভাত খেয়েছেন। বাংলাদেশের মামিমার রান্না করা খাবার ভারতীয় ভাগ্নেরা খাবেন, শুক্রবার এমন ঘটনার স্বাক্ষী থাকল চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে থাকা দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ান ও সাধারণ মানুষসহ অনেকেই।

Advertisement

তবে নিরাপত্তার কড়াকড়িতে নিয়মে একটু ব্যাঘাত ঘটেছে। বাংলাদেশের লালমণিরহাট জেলার পাটগ্রামের হেমন্ত সেন ও সুমিত্রা সেন তাঁদের ভাগ্নেদের খাওয়াতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চ্যাংরাবান্ধা জিরো পয়েন্টে আসেন। মামিমার হাতে তৈরি খাবার খেতে সীমান্তে আসেন রমণী সেন, বিজয় সেন ও বিশু সেনরা। সুমিত্রাদেবীর ভাগ্নেরা ময়নাগুড়ি ব্লকের পদমতি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। তবে মামির হাতে রান্না করা খাবার হাতে পেয়ে ভাগ্নেরা খুশি। ফোনে আগেই যোগাযোগ হয়েছিল যে, এ দিন মামা মামি খাবার নিয়ে সীমান্তে আসবেন। সেই মতো ভাগ্নেরা সকাল থেকেই জিরো পয়েন্টে উপস্থিত ছিলেন। মামির হাতে রান্না খাবার নিয়ে ভাগ্নেরাও এ দিন মামা মামির হাতে কিছু ফলমূল তুলে দেন। এ ছাড়া এ দিন সীমান্তে ছিলেন দুই পরিবারের বাকি সদস্যরাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement