একসঙ্গে: বোর্ডে লাইসেন্সের মালিকের নামের জায়গায় রয়েছে দীপেন্দ্রনাথ প্রামাণিক ও ধর্ম পাসোয়ানের নাম। নিজস্ব চিত্র
পানশালা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ধর্ম পাসোয়ানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বিজেপি নেতারও। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া হলদিবাড়ি মোড়ে একটি মদের দোকান রয়েছে। দোকানের নাম লেখা রাখা কালো রঙের বোর্ডে লাইসেন্স প্রাপক দু’জনের নাম লেখা রয়েছে। একটি ধর্ম পাসোয়ানের, অন্যটি দীপেন্দ্রনাথ প্রামাণিকের। দীপেন্দ্রনাথ জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি ছিলেন। এখন বিজেপির উত্তরবঙ্গের সহকারী আহ্বায়ক। গত লোকসভা ভোটে জয়ন্ত রায়ের মনোনয়ন নিয়ে সমস্যা হওয়ায় দীপেনকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করিয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল নেতা ধর্ম সরকারি প্রভাব খাটিয়ে অনেক কাজ, সুবিধে পেয়েছেন বলে অভিযোগ। ধর্মের সঙ্গে দীপেনের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
যদিও দীপেন দাবি করেছেন, ধর্মের সঙ্গে বর্তমানে তাঁর ব্যবসায়িক কোনও সংস্রব নেই। তাঁর কথায়, “একসময়ে দোকানের লাইসেন্স আমার ছিল। পরে আমি দোকানটি ধর্ম পাসোয়ানকে চালাতে দিয়েছি। এখন আর আমি ওই ব্যবসা দেখি না। এটা সকলে জানেন। আবগারি দফতরও আমাকে এখন কোনও বৈঠকে ডাকে না।” ধর্মের সঙ্গে বর্তমানে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই বলেও দাবি করেছেন দীপেন।
জলপাইগুড়ি জেলা আবগারি দফতরের নথিতে এখনও দু’জনের নামেই লাইসেন্স রয়েছে। আবগারি দফতর সূত্রের খবর, প্রথমে দীপেনবাবুর একার নামে লাইসেন্স ছিল। পরে তাতে ধর্ম পাসোয়ানের নাম যুক্ত হয়। দফতর সূত্রের খবর, দোকানটির লাইসেন্সের মালিকানা থেকে দীপেনবাবুর নাম বাদ দেওয়ার কোনও আবেদন এখনও জমা পড়েনি। তাই দুজনের নামই রয়েছে।
ধর্ম পাসোয়ান যখন ফেরার ছিলেন, তাঁকে ধরার দাবিতে একদিন কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে বিজেপি। পরে অবশ্য তারা কোনও আন্দোলন করেনি। জেলা বিজেপির এক নেতার কথায়, “দীপেনবাবু দলের উত্তরবঙ্গের সহকারী আহ্বায়ক। কাজেই তাঁকে নিয়ে মন্তব্য করার এক্তিয়ার জেলা কমিটির কারও নেই। দল হয়তো সবই জানে। বা জানতে পারবে।”