বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। —ফাইল চিত্র।
থানায় ঢুকে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। হুমকির ঠেলায় নাকি এবিভিপি সমর্থকদের নিয়ে আদালতে রওনা হওয়া ভ্যান মাঝপথ থেকে ফিরে এসেছে, থানা থেকেই ধৃতদের জামিন হয়েছে বলে দাবি। যদিও পুলিশ এই ঘটনা অস্বীকার করেছে।
এর পরেই পাড়াভর্তি লোকের সামনে চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে মোবাইলে লাউডস্পিকারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আপনারা বসে কী করছেন? একটি মেয়ে বিনা চিকিৎসায় মরে গেল। আপনার বিএমওএইচকে সরিয়ে দিন। অপদার্থ অফিসাররা সব বসে আছেন। এরকম চলতে থাকলে আমি কিন্তু অন্য স্টেপ নেব।” বক্তা জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় ঢুকে পুলিশকে হুমকি এবং প্রকাশ্যে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসক জয়ন্ত রায় নরম স্বরে কথা বলেন, শান্ত স্বভাবের বলেই পরিচিত। বিজেপির নিচুস্তরের কর্মীদের প্রশ্ন সাংসদের হলটা কী?
সূত্রের খবর, ২ সেপ্টেম্বর সাংসদের ডাক পড়েছিল শিলিগুড়িতে, সঙ্ঘের উত্তরবঙ্গের সদর ‘মাধব ভবনে।’ সেখানে সঙ্ঘের কর্তারা সাংসদকে ‘দাপটে’র সঙ্গে রাজনীতি করার পরামর্শ দেন বলে খবর। তিনি কড়া কথা বললেও পুলিশ সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না, এমন অভয়ও দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। এরপরেই সাংসদের ভাবমূর্তি বদল বলে দাবি। যদিও সাংসদ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা থেকে স্বাস্থ্য, সবই ভেঙে পড়েছে। কাউকে কোনও হুমকি দিইনি। মানুষের কথা বললেই সেটা হুমকি হবে কেন?”
জেলা বিজেপির নেতাদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার নিরিখে সাংসদ জয়ন্ত রায় এগিয়ে বলে মনে করে সঙ্ঘ। বিধানসভা ভোট যত কাছে সাংসদকে সামনে রেখে ব্লকে ব্লকে কর্মসূচি তত বেশি হবে, এমনটাই গেরুয়া শিবিরের রণনীতি। তৃণমূল এবং প্রশাসনের উপরে চাপ তৈরি করতে ‘দাপুটে’ ভাবমূর্তি প্রয়োজন বলে মনে করছে সঙ্ঘের কার্যকর্তারা। তাই সে পথেই পা ফেলছেন চিকিৎসক সাংসদ? জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামীর মন্তব্য, “তিল কে তাল বানানোর দৃষ্টান্ত প্রবাদে আছে। সাংসদ কেন ভাবমূর্তি বদলাবেন। তবে মানুষ খুব রেগে আছে। সে সব কথা সাংসদ প্রতিনিয়ত শুনছেন এবং প্রশাসনকে জানাচ্ছেন। আগামীতেও তাই করবেন।”