সামনের তিন মাস পাহাড়ে দ্বিগুণ রেশন

দার্জিলিং জেলার খাদ্য নিয়ামক মানিক সরকার বলেন, ‘‘যে ক’দিন পাহাড়বাসী রেশন পাননি, তার সবটুকুই বিলি করা হবে। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় রেশন সামগ্রী পাহাড়ে পৌঁছনো শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৩৬
Share:

বন্‌ধের তিন মাস পাহাড়ের রেশনের দোকানের ঝাঁপ খোলেনি। কট্টরপন্থীদের হামলা-ফতোয়ার জেরে সমতল থেকে খাদ্যশস্যও পাহাড়ে তুলতে পারেনি প্রশাসন। সেই তিন মাসের বরাদ্দ খাদ্যশস্য থেকে পাহাড়বাসীকে বঞ্চিত করতে চাইছে না রাজ্য। চলতি সপ্তাহ থেকে আগামী তিন মাস দার্জিলিং-কালিম্পং-কার্শিয়াং-মিরিকের বাসিন্দারা দ্বিগুণ পরিমাণে রেশনের চাল-আটা পাবেন। রাজ্যের নির্দেশিকা অনুযায়ী পাহাড়ের বাসিন্দারা ৬ কেজি চাল এবং ৫ কেজি আটা মিলিয়ে মাসে মাথাপিছু ১১ কেজি পেয়ে থাকেন। আগামী তিন মাস এই পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ কেজি। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথায়, ‘‘বন্‌ধের সময়েও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বারবার খাদ্য সামগ্রী পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এতটুকু বলতে পারি, পাহাড়ের বাসিন্দারা যাতে কোনও ভাব‌েই কোনও ক্ষেত্রে বঞ্চিত না হন, তা সুনিশ্চিত করছে রাজ্য সরকার।’’

Advertisement

দার্জিলিং জেলার খাদ্য নিয়ামক মানিক সরকার বলেন, ‘‘যে ক’দিন পাহাড়বাসী রেশন পাননি, তার সবটুকুই বিলি করা হবে। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় রেশন সামগ্রী পাহাড়ে পৌঁছনো শুরু হয়েছে। পাহাড়ে এ নিয়ে প্রচারও চলছে।’’

পাহাড়ে বন্‌ধ চলার সময়ে আনাজ নিয়ে যাওয়া ট্রাকে হামলার অভিযোগও ওঠে। রেশন দোকানগুলো জোর করে বন্ধ করে দেয় কট্টরপন্থীরা। আনাজের অভাবে শুরু হয় কালোবাজারি। রেশনে যেখানে দু’টাকা কেজি দরে চাল আটা পাওয়া যায়, কালোবাজারে তার দাম বেড়ে যায় দশ থেকে কুড়ি গুণ। খাদ্য ও সরবরাহ দফতর থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয় ডিলারদের। দোকান না খুললে লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও জানানো হয়। তাতেও খুব একটা ফল মেলেনি।

Advertisement

তবে শেষের দিকে বন্‌ধ চলাকালীন বেশ কয়েকটি রেশন দোকান খুলতে শুরু করেছিল বলে প্রশসান সূত্রের খবর।

গত সেপ্টেম্বরে বন্‌ধ ওঠার অব্যবহিত পর থেকেই রেশন বিলি শুরু হয়নি। পাহাড়ের রেশন গুদামগুলোতে জমে থাকা চাল-আটার মান পরীক্ষা করা হয়। বেশ কিছু সামগ্রী নামিয়ে এনে সমতল থেকে নতুন করে আনাজ পাঠানো হয়। সব প্রক্রিয়া সারতে বেশ কয়েক মাস লেগেছে বলে দাবি খাদ্য ও সরবরাহ দফতরে। সেই প্রস্তুতি পর্ব শেষ। এ বার রেশন পৌঁছে দেবে রাজ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement